খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের দলিল পেয়েও অদৃশ্য কারণে ২০ টি পরিবার ঘরে উঠতে পারছে না। দীর্ঘ ১ বছর ধরে তারা দলিল নিয়ে উদ্ধোর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে গেলেও কোন সুরাহা পাচ্ছে না। এদিকে দলিল না থাকার সত্ত্বেও যারা আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর গুলো জবর দখল করে বসে আছেন তারা ঘর ছাড়বে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। কারণ তারা স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই তারা ঘরে উঠেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা যায় , দেশব্যাপী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর বাজারের ভদ্রা নদীর পাশ ৬৫ টি ঘর নির্মান করা হয়। প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ছিল ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আশরাফ হোসেন জানান, গত ২৫/০৪/২০২২ তারিখ ৬০ টি ঘরের দলিল গৃহহীন পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে দলিল থাকার সত্ত্বেও কামরুল গাজী , শিরিনা বেগম , হাফিজুর গাজী , প্রদীপ কুমার , বাবলু সরদার , সিরাজুল ইসলাম , কুলসুম বিবি , খতেজান বিবি , উত্তম কুমার , হোসনেয়ারা বেগম , জেসমিন বেগম , মুক্তা খাতুন , জোহরা বেগমসহ প্রায ২০ টি পরিবার ঘরে উঠতে পারছে না। এদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় বিকাশ রায় ,সুমি খাতুন , প্রভাত বিশ্বাস , শহিদুল ইসলাম , দুখী বেগম , রোজিনা বেগম , মিনহাজুল ইসলাম , জিয়াউর রহমান , লিটন সরদার , নুরজাহান বেগম , হাজিরা বেগম , লাকী বেগম , রহিমা বেগম , ইয়াসিন হোসেন, মদন সরকার , রাম প্রসাদ ও খোকন সরকার দলিল না থাকার সত্ত্বেও ঘর গুলো জবর দখল করে বসে আছে। ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম ও শিরিনা বেগম বলেন, একটি বছর ধরে দলিল নিয়ে উপজেলা কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার গিয়েছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমাদের ঘরে উঠার ব্যবস্থা করতে পারলেন না।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন, যারা ঘর গুলো জবর দখল করে বসে আছে তাদেরকে বারবার তাগিদ দেওয়ার সত্ত্বেও ঘর গুলো ছাড়ছে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফ আসিফ রহমান বলেন, বিষয়টি আমি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছি।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদ