খুলনার ডুমুরিয়ায় অর্ধ কোটি টাকার নকল কীটনাশক ও কীটনাশক তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১ জনকে ৩ দিনের জেল, ১ জনকে জিগাসা করার জন্য আটক, ২ জনের নামে নিয়মিত মামলা হয়েছে। ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শরীফ আসিফ রহমান ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে এ জেলসহ কীটনাশক তৈরির সরঞ্জামাদি ও কীটনাশক জব্দ করে। পরে উক্ত মালামাল ট্রাকে করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমীন জানায়, বুধবার বিকেলে যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ইয়াসিন আলী গাজীর ভ্যানে ১৯ টি ড্রাম ও ৪০টি কার্টুনে প্রায় ৭ লক্ষ টাকার কীটনাশক যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলায় বিক্রির জন্য পাঠানো হয়। ভ্যান চালক ইয়াসিন রাজগঞ্জ নামক স্থানে গিয়ে এক পথচারীকে ঝিকরগাছার রাস্তা দেখিয়ে দিতে বলেন। কিন্তু পথচারী আমিরুল ইসলাম নামে ঐ ব্যক্তিই অত্র এলাকায় টাটা কীটনাশক কোম্পানিতে চাকরি করেন। এসময় তিনি ভ্যানে তাদের কোম্পানির কীটনাশক দেখে সন্দেহ করে ভ্যান চালকের গতিরোধ করেন। এসময় তিনি ভ্যান চালকের কাছ থেকে জানতে পারেন চুকনগরের একটি কোম্পানি থেকে এই কীটনাশক ঝিকরগাছায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তখন তিনি ভ্যানটি আটকে রেখে টাটা কীটনাশক কোম্পানির এমডি কেশব কুমার সাধুকে বিষয়টি জানালে তার নির্দেশে তখন ভ্যান চালকসহ কীটনাশক গুলো পাটকেলঘাটায় আনা হয়। পরে বিষয়টি জানার পর তিনি লোকজন নিয়ে চুকনগরে এসে নকল কীটনাশক কোম্পানির দেখতে পান। যেখানে টাটার লোগো ব্যবহার করে নকল কীটনাশক তৈরি করা হচ্ছে। বিষয়টি তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ আসিফ রহমানকে জানান। সাথে সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে নকল কীটনাশক কোম্পানির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এসময় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এ কাজের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে প্যানেল কোড ১৮৬০ এর ১৮৬ ধারামতে সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অপরাধে বাড়ির মালিক ডুমুরিয়া উপজেলার নরনিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী মোড়লের ছেলে মাহাবুব রহমান মোড়লকে ৩দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ভ্যান চালককে জিগাসার জন্য আটক, নকল কোম্পানি মেসার্স জেনারেল এগ্রো এর প্রোঃ এম ডি হেলাল ও বাড়ির মালিক মাহাবুব রহমান মোড়লের ছেলে রাব্বি মোড়লের নামে নিয়মিত মামলা, প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার নকল কীটনাশক ও কীটনাশক তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এব্যাপারে টাটা কোম্পানির এমডি জানায়, নকল কোম্পানিতে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার নকল কীটনাশক ও কীটনাশক তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ওয়ালিদ হোসেন।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদ