খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬

ডুমুরিয়ার যে স্কুল সাত বছর থেকে ফাঁকা

গেজেট ডেস্ক

১৯৯১ সালে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত হয় ময়নাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ২০১৫ সাল পর্যন্ত মোটামুটি শিক্ষার্থী থাকলেও বিগত ৭ বছর ধরে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে নেই কোনো শিক্ষার্থী।

তবে শিক্ষার্থী না থাকলেও আছেন তিনজন শিক্ষক। মূলত উল্লিখিত সময়ে স্কুল এলাকার ২৯টি পরিবারে কোনো শিশুর জন্ম না হওয়ায় শিক্ষার্থী সংকটে পড়েছে স্কুলটি। ফলে স্কুল বন্ধের সুপারিশ করেছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করতে না হলেও টানা ৭ বছর ধরেই বসে বসে বিনা পরিশ্রমে বেতন নিচ্ছেন তারা। আছেন শিশু জন্মের অপেক্ষায় এবং স্কুলে ভর্তির হবার।

বিষয়টি স্বীকার করে ময়নাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্বপ্না রানী বলেন, ‘২৯টি পরিবার নিয়ে আমাদের ময়নাপুর গ্রাম। এই গ্রামে গত ৭ বছরে কোনো বাচ্চা জন্মেনি। এ কারণে স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীর এই দুরবস্থা।’

ময়নাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এখন যেন পরিত্যক্ত জায়গা। পড়ে আছে বিশাল স্কুল ভবন। শ্রেণিকক্ষ ফাঁকা। নেই কোনো শিক্ষার্থী-কোলাহল। তবে স্কুল ঘিরে রয়েছে আবর্জনার স্তুপ। স্কুল কাম আশ্রয় কেন্দ্রের নিচতলায় ধান শুকানো হচ্ছে। স্কুলের  মাঠে চুলা বানিয়ে সেখানে ধান সেদ্ধও করা হচ্ছে। এখন ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

তবে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি দাবি, গ্রামে ৬-৭ জন শিশু আছে। কিন্তু তারা এখনো স্কুলে ভর্তির উপযোগী হয়নি। এখন কিভাবে স্কুলে শিক্ষার্থী আনা যায়, সে চেষ্টা করছেন তারা।

এবিষয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিকদার আতিকুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থী সার্ভের পর গত মার্চ মাসে ময়নাপুর স্কুলটি বন্ধের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসে চিঠি লিখেছি। কিন্ত এখনো সিদ্ধান্ত আসেনি।’

খুলনা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. সিরাজুদ্দোহা বলেন, ‘ওই স্কুলটি বন্ধ করে সেখানকার শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখেছি। সিদ্ধান্ত বা নির্দেশনা পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে ডুমরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ২১৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এ ২১৪ প্রতিষ্ঠানে ২২ হাজার ৬১৭ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। এরমধ্যে ২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ এর নিচে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!