দেশে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ব্যাখ্যা দেয়া হয়। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম এক লাফে লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়ানোর দু’দিন পর এর কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলতি ২০২১–২২ অর্থবছরের শুরু থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ছে। এ কারণে দেশে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে।
গত বুধবার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম একবারে লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়ায় সরকার। এই দুই ধরনের জ্বালানি তেলের নতুন দর হবে প্রতি লিটার ৮০ টাকা, যা এত দিন ৬৫ টাকা ছিল। নতুন দর বুধবার দিবাগত রাত থেকেই কার্যকর করা হয়েছে।
জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে সর্বাধিক ব্যবহৃত জ্বালানি তেল ডিজেলের ক্ষেত্রে বিপিসি লোকসানের মুখোমুখি হয়। ডিজেলে জুনে লিটারপ্রতি ২.৯৭ টাকা, জুলাইয়ে ৩.৭০ টাকা, আগস্টে ১.৫৮ টাকা, সেপ্টেম্বরে ৫.৬২ টাকা ও অক্টোবরে ১৩.০১ টাকা বিপিসির লোকসান হয়েছে। সে হিসাবে গত সাড়ে ৫ মাসে ডিজেলে বিপিসির লোকসান হয়েছে প্রায় ১ হাজার ১৪৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা, যা সরকারকে ভর্তুকির মাধ্যমে সমন্বয় করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে প্রায় ৩৩ হাজার ৭৩৪ দশমিক ৭৮ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) গ্রহণ করেছে। এ অবস্থায় বিপিসি লোকসানে চলে গেলে এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হবে, যা জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে।
মন্ত্রণালয় বলছে, ৪ নভেম্বর সরকার দেশে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করেছে, যদিও আশপাশের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডিজেলের মূল্য এখনো কম। ৩ নভেম্বর ভারতের কলকাতায় প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ছিল ১০১ দশমিক ৫৩ রুপি বা ১২৪ দশমিক ৩৭ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস পেলে সরকার পুনরায় ডিজেল ও কেরোসিনের দর সমন্বয়ের উদ্যোগ নেবে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই