টেস্ট সিরিজে তাও প্রথম ম্যাচটা জিতেছিল ভারত। কিন্তু ওয়ানডে সিরিজের শুরুতেই হোঁচট খেল কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের শিষ্যরা।
টেম্বা বাভুমা এবং রাসি ফন ডার ডাসেনের জোড়া সেঞ্চুরির চাপে পিষ্ট হয়ে বিরাট কোহলিরা হারলেন ৩১ রানে। এর ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টানা তৃতীয় ম্যাচে হারের কবলে পড়ল ভারত।
বিরাট কোহলি ওয়ানডের অধিনায়কত্ব হারিয়েছিলেন এই সিরিজের আগেই। ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন যুগের শুরুটা রোহিত শর্মার হাত ধরে হওয়ার কথা থাকলেও চোট তাকে ছিটকে দেয় এই সিরিজ থেকে। তার বদলে টেম্বা বাভুমার সঙ্গে টসে নামেন লোকেশ রাহুল। তবে তার শুরুটা ভালো হয়নি, হেরেছেন টসে, তাতে ভারতকে নামতে হয়েছে ফিল্ডিংয়ে।
তবে শুরুটা খারাপ হয়নি ভারতের। পঞ্চম ওভারে যশপ্রীত বুমরাহর কল্যাণে ইয়ানেমান মালানকে ফিরিয়ে শুরু। এরপর কুইন্টন ডি কক ও এইডেন মার্করামও ফেরেন ইনিংসের ১৮তম ওভারের আগেই।
ভারতের দুর্দশার শুরুটা সেখানেই। পরের ৩০ ওভার বোলিং করে যে ডাসেন-বাভুমার কাউকে ফেরাতে পারেননি ভারতীয় বোলাররা। দুজনের চতুর্থ উইকেট জুটিটা যখন ভাঙল, তখন নড়বড়ে শুরু সামলানো তো বটেই, দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরবোর্ডে লড়াকু পুঁজিও যোগ করার কাজটা সেরে ফেলেছিলেন ডাসেন আর বাভুমা। সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন দুজনেই, চতুর্থ উইকেটে যোগ করা হয়ে গিয়েছিল ২০৪ রান।
১৪৩ বলে বাভুমা ১১০ রান করে ফেরেন ইনিংসের ৪৯তম ওভারে। আর ডাসেন শেষতক অপরাজিত থাকেন ৯৬ বলে ১২৯ করে। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকা পায় ২৯৬ রানের লড়াকু এক পুঁজি।
জবাবে ভারতও শুরুটা ভালোই করেছিল। শুরু থেকেই রান তোলার গতির দিকে মন দিয়েছিলেন অধিনায়ক রাহুল আর শিখর ধাওয়ান। রাহুলের ফেরার পর ধাওয়ানের সঙ্গে জুটি গড়েন কোহলি। দুজনের জুটিতে ভারত এগোচ্ছিল জয়ের দিকেই। তবে ধাওয়ান বিদায় নেন দলীয় ১৩৮ রানে, কোহলি ফেরেন তার একটু পরেই। তার বিদায়ের পরও অবশ্য ভারতকে ম্যাচে রাখছিলেন শ্রেয়াশ আইয়ার ও ঋষভ পান্ত।
তবে আইয়ারের বিদায়ের পরই যেন এক ঝড়ে বিধ্বস্ত হয় ভারত। ৩ উইকেটে ১৮১ থেকে ১৯৯ তুলতেই হারিয়ে বসে আরও চার উইকেট। ম্যাচটা ভারত হেরেছে তখনই। এরপর শার্দুল ঠাকুরের ফিফটি কেবল ব্যবধানটাই কমিয়েছে হারের। শেষমেশ ভারত থামে ২৬৫ রানে। ভারত ম্যাচটা হারে ৩১ রানে।