রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেলের বর্তমান জনবল দিয়ে চলমান নাশকতা ঠেকানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সারাদেশে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। কয়েকদিনের মধ্যে ২৭০০ আনসার সদস্য নিয়োজিত করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার রেলভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রী হরতাল-অবরোধের মধ্যে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, প্রতিদিন সারাদেশ তিনশ’ ট্রেন চলাচল করে। আর রেলযাত্রা নিরাপদ করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
নিরাপত্তা দিতে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত ২৭০০ আনসার চাওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন দিয়েছে। আমরা আশা করছি আগামী দুই একদিনের মধ্যে এই জনবল পেয়ে যাব।
মঙ্গলবার ভোরে বিএনপির ডাকা হরতালের মধ্যে নেত্রকোণা থেকে এসে ঢাকায় ঢোকার পথে মঙ্গলবার ভোরে অগ্নিনাশকতার শিকার হয় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস। এ ঘটনায় পুড়ে যায় ট্রেনটির তিনটি বগি। একটি বগি থেকে মা ও শিশুকন্যা সহ চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে ১৩ ডিসেম্বর গাজীপুরের ভাওয়াল ও রাজেন্দ্রপুর রেল স্টেশনের মধ্যবর্তী বনখড়িয়া এলাকায় রেললাইন কেটে ফেলায় ভোররাতে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। তাতে একজন নিহত এবং লোকো মাস্টারসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
গত ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া বিএনপি-জামায়াতের দফায় দফায় হরতাল অবরোধে, ঢাকা, সিলেট জামালপুর, জয়পুরহাট, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় বিএনপিকেই দায়ী করে আসছে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।
মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের ঘটনার পেছনে সরকারবিরোধী আন্দোলনের যোগসূত্রতা থাকতে পারে।
তিনি বলেন, আগে বাসে ট্রাকে আগুন দিত। এখন সেগুলো কিছুটা কমেছে। এখন রেলকেও আক্রমণের লক্ষ্য বানানো হয়েছে।
রেল লাইন উপড়ে বা কেটে ফেলা এবং বগিতে আগুন দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে রেলমন্ত্রী বলেছেন, তিনি ধারণা করছেন এ ধরনের নাশকতার সঙ্গে জড়িতদের সংখ্যা খুব বেশি নয়। এ আইন শৃঙ্খলার রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।
খুলনা গেজেট/ টিএ