দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজটা স্বপ্নের মতো কেটেছে বাংলাদেশ দলের। সাকিব-তাসকিনদের দুর্দান্ত পারফরমেন্সে ঐতিহাসিক সিরিজ জিতে নেয় টাইগাররা। এবার মিশন টেস্ট সিরিজ। সাদা পোশাকেও রঙিন স্বপ্ন মুমিনুলদের। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে আজ বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের। ডারবানে ম্যাচটি শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায়।
তবে পেটে সমস্যার কারণে প্রথম টেস্টে নেই তামিম ইকবাল। এছাড়া টাইগার পেসার শরিফুলের খেলা নিয়েও শঙ্কা ছিল। শেষমেশ চোটের কাছে হার মানলেন তিনিও।
ওয়ানডের পর টেস্টেও ইতিহাস গড়ার দারুণ সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। এক্ষেত্রে মুমিনুলদের সামনে বড় অনুপ্রেরণা নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়। ডারবানে খেলতে নামার আগে তাই বারবার আসছে নিউজিল্যান্ডের মাউন্ড মঙ্গানুইয়ের ইতিহাসগড়া টেস্ট জয়ের প্রসঙ্গ।
এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি কারণে ওয়ানডের পর টেস্টেও ভালো করার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের সামনে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, আইপিএলের কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে তুলনামূলক দুর্বল দল নিয়ে খেলতে নামছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিদি কিংবা মার্কো ইয়ানসেনের মতো টেস্ট দলের নিয়মিত তারকারা এখন আইপিএল খেলতে ভারতে আছেন। শুধু বোলাররাই নন, এইডেন মার্কারাম কিংবা রাসি ফন ডার ডুসেনের মতো তারকা ব্যাটসম্যানদেরও পাচ্ছে না স্বাগতিকরা। তাই এটাকে বড় সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এদিকে ডারবান টেস্টের শুরু থেকে শেষ, সম্ভবত প্রতিদিনই আলোচনায় থাকবে বৃষ্টি। অন্তত দক্ষিণ আফ্রিকার আবহাওয়া অধিদফতর থেকে প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে সে রকমই। ক্যাপ্টেন মুমিনুলের ভাবনার অনেকটা জুড়েই তাই উইকেটের আচরণের চেয়েও প্রাধান্য পাচ্ছে বিরূপ আবহাওয়া।
পুরো শক্তির দল নিয়েও ওয়ানডেতে দাঁড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা। টেস্টে আবার নেই তাদের মূল বোলাররা। প্রতিপক্ষের এসব দুর্বলতা জানা থাকলেও নিজেদের নিরঙ্কুশভাবে ফেভারিট বলতে পারছেন না মুমিনুল। মূলত হোম ভেন্যুর সুবিধাটাই নাকি এগিয়ে রাখবে প্রোটিয়াদের।
তিনি বলেন, হোম ভেন্যুতে যে কোনো দেশ কিছুটা সুবিধা পায়। অভিজ্ঞতার বিচারে হয়তো আমরাও কিছুটা সুবিধা পাব। তবে দিন শেষে যারা চাপ সামলে এগিয়ে যেতে পারবে, তারাই ম্যাচে সফল হবে।
সাদা পোশাকে বিদেশের মাটিতে ফল চাইলে মুন্সিয়ানা দেখাতে হবে পেসারদেরকে। নিউজিল্যান্ডে টেস্ট আর আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজ জয়ে সেটা এখন আত্মস্থ করেছেন তাসকিন-এবাদতরা। তাই হয়তো এখানেও মিনির তুরুপের তাস গতি তারকারাই।
এক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকান কোচদের ভূমিকাকেই প্রধান্য দিচ্ছেন মুমিনুল।
তিনি বলেন, একটা দেশের বিপক্ষে যখন খেলবেন, আর সে দেশের কোচিং স্টাফদেরই যখন আপনি পাচ্ছেন, তখন সেটা যে কোনো দলের জন্য অনেক পজিটিভ বিষয়। সে দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে নেওয়া যায়, কীভাবে বল ও ব্যাট করতে হয়, এসব সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যায়।