খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

টেকনাফ সীমান্তে ফের বিকট গোলার শব্দ

গেজেট ডেস্ক

কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তে নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমার থেকে ফের ভারী গোলার শব্দ শোনা যাচ্ছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত উপজেলার হোয়াইক্যংয়ে খারাংখালী সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায় বলে জানান স্থানীয়রা।

টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জনান, সীমান্তের খারাংখালী এলাকার ৪ নম্বর বেড়িবাঁধের ওপার থেকে ব্যাপক গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। ভয়ে সীমান্তের কাছে চিংড়ি প্রজেক্টের লোকজন নিরাপদ দূরত্বে চলে এসেছে।

মোহাম্মদ আলম বলেন, আমার সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রায় ৫ হাজার মানুষের বসবাস।

সীমান্তের চিংড়ি প্রজেক্টের পাহারাদার দলিল মিয়া বলেন, হঠাৎ করে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সীমান্তের ওপার থেকে বিকট গোলার শব্দ পাওয়া যায়। গোলার শব্দে চিংড়ির ঘের কেঁপে ওঠে। মনে হচ্ছিল গোলা এপারে এসে পড়েছে। ভয়ে আমরা চিংড়ির ঘের ছেড়ে নিরাপদে চলে এসেছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ আনোয়ারী জানান, খারাংখালী সীমান্তের নাফ নদীর ওপারে গুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গেছে। লোকজনকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত শাহপরীর সীমান্তে তেমন কোনো গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি। টানা ছয়দিন পর এই সীমান্তে গোলার শব্দ শোনেনি স্থানীয় বাসিন্দারা।

শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটের দোকানি নাছির উদ্দীন বলেন, সকাল থেকে ৪ বার গোলার শব্দ শোনা গেছে। তবে রাত ১১টা পর্যন্ত এখানে ভারী কোনো গোলার শব্দ পাওয়া যায়নি।

গোলার শব্দ পাওয়া না গেলেও সীমান্তের বাসিন্দাদের আতঙ্ক কাটেনি। মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির মধ্য চলমান সংঘাত বন্ধ না হওয়ায় অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা নাফ নদে টহল অব্যাহত রেখেছে।

কোস্ট গার্ড চট্রগ্রাম পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান বলেন, ওপারের চলমান যুদ্ধের পরিস্থিতিতে নাফ নদ ও শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে অনুপ্রবেশের সম্ভবনা থেকে আমরা টহল জোরদার রেখেছি। আমরা ২৫ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২ শতাধিক রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশকালে প্রতিহত করেছি।

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!