তিন ওয়ানডের পর তিন টি-টোয়েন্টি, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোনো দিক থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা হয়নি বাংলাদেশের। ওয়ানডে সিরিজে কোনো ম্যাচেই দলীয় শতরান করতে পারেনি বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টির প্রথম দুই ম্যাচে সেটা হলেও ঠিক প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা হয়নি টাইগ্রেসদের। বৃহস্পতিবার শেষ টি-টোয়েন্টিতে অবস্থা আরও শোচনীয়।
অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ১৫৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটাররা গুটিয়ে গিয়েছে মাত্র ৭৮ রানে। পুরো সফরে যা বাংলাদেশের মেয়েদের সর্বনিম্ন স্কোর। এমন ভয়াবহ ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে সবচেয়ে বড় হারটাই দেখতে হয়েছে স্বাগতিকদের। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ৭৭ রানের বড় ব্যবধানে। তাতে ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হতে হলো টাইগ্রেসদের।
১৫৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরতেই ধাক্কা খেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই দলীয় ৪ রানে আউট হন ওপেনার মুরশিদা খাতুন। মেগান শুটের বলে এলিস পেরির হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং উপহার দেওয়া দিলারা আক্তার এদিন কিছুটা ধীরগতিতেই খেলেছেন। অবশ্য উপায়ও ছিল না। তাকে একপ্রান্তে রেখে আসা যাওয়া করেছেন রিতু মণি, স্বর্ণা আক্তাররা। রিতুর ব্যাট থেকে এসেছে ১০ রান। আর স্বর্ণা আউট শূন্য রানেই।
দিলারা নিজেও বড় করতে পারেননি স্কোর। ১৮ বলে ১২ করে অ্যাশলি গার্ডনারের শিকার হয়েছেন এই ওপেনার। রাবেয়া খান এবং ফাহিমা খাতুনও দ্রুত ফিরে গেলে ৫০ রানের আগেই অলআউটের শঙ্কায় পড়ে যায় মেয়েরা। একাই লড়াই চালিয়েছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তবে সঙ্গ পাননি কাউকে। শেষে নামা ফারিহা তৃষ্ণা তাকে কিছুটা সঙ্গ দিয়েছেন।
জ্যোতির লড়াইটা তাই বেড়েছে খানিক। তবে শেষ পর্যন্ত ৩২ রানে আউট হয়েছেন জ্যোতি। ৫ চারে সাজিয়েছেন নিজের ইনিংস। জর্জিয়া ওয়্যারহ্যামের বলে বোল্ড হলে ৭৮ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে অ্যালিসা হিলির কল্যাণে উড়ন্ত সূচনা পায় অস্ট্রেলিয়া। মাঝের ওভারে নাহিদার তিন উইকেটে কিছুটা হলেও অজিদের লাগাম টেনে ধরে বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু, শেষদিকে গ্রেস হ্যারিস এবং তাহলিয়া ম্যাকগ্রা চড়াও হয়েছেন টাইগ্রেসদের ওপর। শেষ তিন ওভারেই এসেছে ৪৭ রান। তাতেই অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫৫ রান।
খুলনা গেজেট/ এএজে