একটি টেস্ট জিতে লাল বলের সিরিজ ড্র করলেও, ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজে টাইগাররা ধবলধোলাই হয়েছে। সেই দলই কি না ক্যারিবীয়দের পছন্দের ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিতে ঐতিহাসিক জয় পেল আজ (শুক্রবার)। তিন ম্যাচের এই সিরিজে প্রথমবার বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ধবলধোলাই করেছে। সিরিজে একটি বিশ্বরেকর্ডও গড়েছেন তাসকিন-মেহেদীরা।
গত ১৬ ডিসেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬ বছর পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিশ্চিত করে লিটন দাসের দল। আজ ছিল সেই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি। ম্যাচটিতে ৮০ রানের বড় জয়ে প্রথমবারের মতো ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করল টাইগাররা। এদিন সেন্ট ভিনসেন্টে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৪১ বলে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭২ রান করেন জাকের আলি। জবাবে তাড়া করতে নেমে ১৬.৪ ওভারে মাত্র ১০৯ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
কেবল এই ম্যাচেই নয়, তিনটি ম্যাচেই বাংলাদেশ ক্যারিবীয়দের অলআউট করেছে। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথমবার ৩০ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আর কোনো দলেরই সেই নজির নেই। গত মাসে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সর্বোচ্চ ২৯ উইকেট নিয়েছিল। এ ছাড়া টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২৮ উইকেট নেওয়ার নজির রয়েছে আটটি। উইন্ডিজদের ধবলধোলাইয়ের পথে শতভাগ উইকেট নিয়ে প্রথম এই বিশ্বরেকর্ডে নিজেদের নাম তুলল বাংলাদেশ।
এর আগে বাংলাদেশ তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে সর্বোচ্চ ২২টি উইকেট নিতে পেরেছিল তিনবার। প্রথমবার আয়ারল্যান্ড সফরে ২০১২ সালে, এরপর ঘরের মাঠেই ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে ২২ উইকেট নেয় টাইগাররা। আজকের আগপর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে কোনো দলেরই প্রতিপক্ষের শতভাগ উইকেট নেওয়ার কীর্তি ছিল না।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে প্রথমবার তিনটি টি-টোয়েন্টিতেই জয়ের অন্যতম কৃতিত্ব রয়েছে বাংলাদেশি বোলারদের। এই সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রাহকদের তালিকায়ও টাইগারদেরই অবস্থান শীর্ষে। ৩ ম্যাচে মাত্র ৫.৭৫ ইকোনমিতে সর্বোচ্চ ৮ উইকেট নিয়েছেন স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী। এ ছাড়া পেসার তাসকিন আহমেদ ১০.৫৭ ইকোনমিতে ৭ এবং লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন ১০.৮৩ ইকোনমিতে ৬ উইকেট শিকার করেছেন।