টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের যুব তৃণমূলের সভাপতি সায়নী ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। রোববার (২১ নভেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে আগরতলা পূর্ব থানা থেকে জানানো হয়, তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এর আগে সকাল থেকেই তাকে থানায় বসিয়ে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
সায়নীর বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ, আসামের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় জোরে গাড়ি চালিয়ে মানুষকে মারার চেষ্টা করেছিলেন অভিনেত্রী। তবে এ অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের নেত্রী সুস্মিতা দেব।
তিনি বলেন, ‘জোরে গাড়ি চালিয়ে মানুষ মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন সায়নী, এটা কেউ বিশ্বাস করবে না। পুরোটাই মিথ্যা। আমাদের ভয় দেখানোর জন্য এটা করা হয়েছে। এছাড়াও কাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন। তার কর্মসূচি নষ্ট করার জন্য এসব করা হয়েছে। ওরা যতই এই ধরনের মিথ্যে মামলা করুক, আমরা যে লড়াইয়ের জন্য এসেছি তা ছাড়ব না। কাল যখন ওকে আদালতে তোলা হবে তখন আমরা জামিনের জন্য আবেদন করব। আমরা আপাতত থানার ভেতরেই রয়েছি। কারণ থানার মধ্যে ঢুকে বিজেপি কর্মীরা আমাদের সমর্থকদের মেরেছে। তাই সায়নী যতক্ষণ পুলিশের হেফাজতে থাকবে ততক্ষণ আমরা থানা ছাড়ব না। কারণ সায়নী নিরাপদ নয়।’
অভিযোগের বিষয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শনিবার (২০ নভেম্বর) রাতে নির্বাচনী প্রচার সেরে হোটেলে ফিরছিলেন সায়নী ঘোষ। গাড়িতে চালকের পাশের আসনে বসেছিলেন তিনি। এ সময় যানজটে আটকে যায় তার গাড়ি। গাড়ির পেছনের আসনে বসেছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ ও সুদীপ রাহা। গাড়িটি যানজটে আটকে যাওয়ায় আশেপাশের লোকেরা সায়নীকে দেখে হাত নাড়েন ও ‘খেলা হবে’ স্লোগান দিতে থাকেন।
এই ঘটনায় পুলিশের দাবি, তখনই সায়নীর গাড়ির ধাক্কায় এক ব্যক্তি আহত হয়েছিলেন। সেই সুত্রে রোববার (২১ নভেম্বর) সকালে তৃণমূল নেতাকর্মীরা আগরতলার যে হোটেলে উঠেছিলেন, সেখানে হানা দেয় পুলিশ। এরপর সায়নীকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই