শ্রীলঙ্কাকে ২৬ রানের ব্যবধানে হারিয়ে চলমান বিশ্বকাপে টানা চতুর্থ জয় তুলে নিলো ইংল্যান্ড। জস বাটলারের শতকে ভর করে আগে ব্যাট করে ইংল্যান্ড সংগ্রহ ১৬৩ রান। রশিদ-জর্ডানদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কা থামে ১৩৭ রানে। ইংল্যান্ডের এই জয়ে টিকে রইলো বাংলাদেশে সেমিফাইনাল খেলার আশা।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। শুরুতেই ইংলিশদের চেপে ধরেন দুশমান্থা চামিরা ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ওপেনার জস বাটলার ব্যতীত ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। জেসন ৬ বলে ৯ রান করে হাসারাঙ্গার বলে বোল্ড মাঠ ছাড়েন। চামিরার বলে বোল্ড হন ৮ বলে ৬ রান করা ডেভিড মালান।
রানের খাতা খোলার আগেই হাসারাঙ্গার শিকার হন জনি বেয়ারস্টো। ৩৫ রানেই ইংল্যান্ডের তিন উইকেট শিকার করে শ্রীলঙ্কা। শুরুতে লঙ্কানরা রাজত্ব করলেও পরের গল্পটি কেবলই বাটলারের। ধীরগতিতেই শুরু করেন বাটলার। অর্ধশতক হাঁকান ৪৫ বলে। ৫০ রান পেরোনোর পরেই রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন তিনি। বাটলার পরের ৫০ রান করেন মাত্র ২২ বলে।
ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে শতক পূরণ করেন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। তিনি অপরাজিত থাকেন ৬৭ বলে ১০১ রানে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটিই বাটলারের প্রথম অর্ধশতক। দলের বিপদের সময়ে হাঁকানো এই শতকের পথে তার উইলো থেকে আসে ৬টি করে চার ও ছক্কা।
বাটলারের শতকের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ইংল্যান্ড সংগ্রহ করেছে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৩ রান। বাটলার ও মরগান গড়েছিলেন ১১২ রানের জুটি। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা তিনটি উইকেট শিকার করেন।
জবাব দিতে নেমে প্রথম ওভারেই রানআউটের ফাঁদে পড়েন শ্রীলঙ্কান ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা। আদিলের রশিদের লেগ স্পিনে এক প্রকার অসহায় হয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা। রশিদের ৪ ওভারে ১৯ রান সংগ্রহ করে তারা এবং উইকেট হারায় দুইটি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা লঙ্কানরা ৭৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়।
সপ্তম উইকেটে লঙ্কানদের আবার জয়ের স্বপ্ন দেখান হাসারাঙ্গা ও দাসুন শানাকা। তাদের জুটিতে আসে ৫৩ রান। ২১ বলে ৩৪ রান করে লিয়াম লিভিংস্টোনের বলে হাসারাঙ্গা আউট হলে ভাঙে জুটি। পরের ওভারেই রানআউট হন অধিনায়ক শানাকা। তিনি করেন ২৫ বলে ২৬ রান। এছাড়া ভানুকা রাজাপক্ষের ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ২৬ রান।
শানাকা ও হাসারাঙ্গা সাজঘরে ফেরার পর আর লড়াই করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ১৯তম ওভারে শ্রীলঙ্কার শেষ দুইটি উইকেট শিকার করে ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন মঈন আলি। ৩ ওভারে ১৫ রান খরচ করে মঈন পান দুইটি উইকেট। ৪ ওভারে ২৪ রানের বিনিময়ে ক্রিস জর্ডানও দুইটি উইকেট নেন। ইংল্যান্ড পায় ২৬ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড ১৬৩/৪ (২০ ওভার)
বাটলার ১০১*, মরগান ৪০;
হাসারাঙ্গা ৩/২১।
শ্রীলঙ্কা১৩৭/১০ (১৯ ওভার)
হাসারাঙ্গা ৩৪, রাজাপক্ষে ২৬, শানাকা ২৬;
মঈন ২/১৫, রশিদ ২/১৯, জর্ডান ২/২৪;
খুলনা গেজেট/ এস আই