সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি জিতে ইতোমধ্যেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। ফলে সিরিজের শেষ ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য মান বাঁচানোর। এই ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। বাজে সময় পার করা টাইগাররা আজ ব্যাটিংয়ে ভালো করেছে। বিশেষ করে দুই ওপেনারের কল্যাণে বড় সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেছেন পারভেজ ইমন। মান বাচানোর ম্যাচে পাকিস্তানকে ১৯৭ রানের চ্যালেঞ্জ দিয়েছে বাংলাদেশ।
লাহোরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। যা টি–টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১৭৫ রান, ২০১২ সালের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাল্লেকেলেতে। সেই রেকর্ড ভেঙে এবার ১৯৬ রানে থামল লিটন-তামিমদের দল।
দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন দুর্দান্ত শুরু এনে দেন বাংলাদেশকে। ইনিংসের শুরুতে দুজনেই কিছুটা দেখে-শুনে খেলেছেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খোলস ছেড়ে বের হয়ে এসেছেন। ওপেনাররা সময় মতো গিয়ার পরিবর্তন করতে পারায় পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৫৩ রান তুলে বাংলাদেশ।
তামিম কিছুটা রক্ষণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করলেও ইমন রীতিমতো ঝড় তোলেন। ২৭ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি। আরেক ওপেনার তামিম ফিরেছেন ফিফটি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। ৩২ বলে ৪২ রান করেছেন তিনি।
তামিমের বিদায়ে ভাঙে ১১০ রানের উদ্বোধনী জুটি। নিজেদের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো উদ্বোধনী জুটিতে শতরান পেয়েছে বাংলাদেশ। এর তিনটিতেই জড়িয়ে আছে তামিমের নাম।
তামিমের বিদায়ের পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ইমন। তিন বল পরই বিদায় নিয়েছেন এই ওপেনার। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৪ বলে ৬৬ রান।
তিনে নেমে লিটন দাস করেছেন ১৮ বলে ২২ রান। আর তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ১৮ বলে ২৫ রান। শেষদিকে ৯ বলে অপরাজিত ১৫ রান করেছেন জাকের আলি।
খুলনা গেজেট/এমএম