ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্যস্ত সময় পার করছে শিক্ষার্থীরা। গত তিন দিন ধরে তারা বিভিন্ন ধরনের সেবা যেমন টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ, হাসপাতালের খাবারের মান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকাণ্ডে নিজেদেরকে টিম আকারে ব্যস্ত রেখেছে।
এ বিষয়ে রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বললে তারা এ ধরনের কার্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এখন তারা শতভাগ সেবা পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে হাসপাতাল একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরও ডাক্তারদের কাছ থেকে রোগীরা কাঙ্খিত সেবা পায় না বলে দীর্ঘ দিন ধরে নানান অভিযোগ আছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জেলার অন্যতম সমন্বয়ক শুভ, সাদিক, আনিশা জানান, আমরা আস্তে আস্তে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করছি। বেশিরভাগ জায়গাতেই আমরা সমস্যা খুঁজে পেয়েছি। এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে আমরা মিটিং করেছি।
তারা জানান, হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা থেকে শুরু করে ফ্যান, লাইট জ্বলছে কিনা, রোগীরা সঠিক সেবা পাচ্ছেন কিনা, এমনকি খাবারের মান, একই সাথে হাসপাতালের যানবাহন রাখায় শৃঙ্খলা ফেরানো সবই একে একে দেখা হচ্ছে । আশা করি, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ঝিনাইদহ সদর হাসাপাতালের সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।
খুলনা গেজেট/এএজে