ঝিনাইদহে র্যাব-৬ এর অভিযানে অপহরণ ও চোরচক্রের মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একইসাথে ভিকটিম ও ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-৬ এর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়- ভিকটিম আমিনুল ইসলাম চুন্নু(৫২) একজন ইজিবাইক চালক। তিনি প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ঝিনাইদহ সদর থানাধীন বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। তার ইজিবাইকে কোন যাত্রী না থাকার সুযোগে গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোঃ মিজান শেখ ওরফে মিরাজসহ অজ্ঞাতনামা ৩ জন আসামী একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাস নিয়ে সেখানে এসে চেতনানাশক ওষুধ মিশানো রুমাল ভিকটিমের মুখে চেপে ধরে তাকে অচেতন করে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যায়। তখন অপহরণ চক্রের সদস্য চালক সেজে ইজিবাইক নিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে স্থানীয় লোকজন টহলরত র্যাবের নিকট বিষয়টি জানায়।
তাৎক্ষনিক র্যাবের আভিযানিক টিম ইজিবাইকসহ মোঃ মিজান শেখ ওরফে মিরাজকে গ্রেপ্তার করে। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে এবং গোপনীয় তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের আভিযানিক দল ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানা এলাকা হতে ভিকটিম চুন্নু মিয়াকে(৫২) অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।উক্ত বিষয়ে ভিকটিমের ভাতিজা তাজমুল হোসেন টিপন বাদী হয়ে র্যাবের সহায়তায় ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত অপহরন ও ইজিবাইক চুরি চক্রের সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, গ্রেপ্তারকৃত আসামীসহ সহযোগী আসামীরা একটি সংঘবদ্ধ অপহরন ও চোরাই চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাইক্রোবাস যোগে পরিকল্পিতভাবে ইজিবাইক চালকদের কৌশলে চেতনানাশক ঔষধ ব্যবহার করে ভিকটিদের অচেতন করে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ভিকটিম ইজিবাইক চালককে অচেতন অবস্থায় মাইক্রোযোগে তুলে নিয়ে তার নিকট হতে টাকা-পয়সা ও মালামাল নিয়ে দূরে কোথাও সুবিধাজনক স্থানে ভিকটিমকে ফেলে রেখে চলে যেত। অপরহরন ও ইজিবাইক চোরাকারবারী চক্রের অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।