মাস তিন আগে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার হরিশপুর গ্রামের বাসিন্দা রাশিদুল। চিকিৎসকরা জানান, তার দুইটি কিডনি বিকল হয়ে গেছে। বেঁচে থাকার জন্য জরুরী ভিত্তিতে কিডনি প্রয়োজন।
মৃত্যুপথযাত্রী স্বামীকে বাঁচাতে নিজের একটি কিডনি দিতে রাজি হন স্ত্রী সেতু খাতুন।
‘আমার স্বামী যদি মারা যায়, তাহলে আমি কাকে নিয়ে বাঁচব? তাই স্বামীকে কিডনি দিছি। দুই জন একটি করে, যতদিন আল্লাহ বাঁচায় রাখেন, ততদিন বেঁচে থাকব।’কথাগুলো ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার হরিশপুর গ্রামের রাশিদুল ইসলামের স্ত্রী সেতু খাতুনের।
হাসপাতালের বিছানায় এভাবেই স্বামীর প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করেন তিনি। প্রত্যন্ত অঞ্চলের এ নারীর স্বামী রাশিদুলের দুটি কিডনিই সম্প্রতি নষ্ট হয়। মৃত্যুপথযাত্রী স্বামীকে বাঁচাতে নিজের একটি কিডনি দেন সেতু। রাশিদুলের চাচাতো ভাই সবুজ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে তাদের অস্ত্রোপচার করা হয়। স্বামী, স্ত্রী উভয়ই সুস্থ আছেন।
হরিণাকুণ্ডুর হরিশপুর গ্রামের রাশিদুরের সঙ্গে সাড়ে তিন বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাতিভাঙ্গা গ্রামের সেতু খাতুনের। এ দম্পতির একটি সন্তানও রয়েছে।ভালোবাসার সংসারে বিভীষিকা নেমে আসে তিন মাস আগে, যখন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন রাশিদুল। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা জানান, তার দুটি কিডনিই বিকল হয়ে গেছে।
কিডনি কেনার সামর্থ্য ছিল না মধ্যবিত্ত পরিবারটির। স্বামীকে বাঁচাতে তাই নিজের একটি কিডনি দেন সেতু।সেতুর মা নুরনাহার বেগম বলেন, তার মেয়ে স্বামীর জন্য যা করেছে, তাতে তারা খুশি। তিনি সবার কাছে দুজনের জন্যই দোয়া চেয়েছেন। (এনবিনিউজ২৪.কম)
খুলনা গেজেট/নূর