ঝিনাইদহে বকুল নামে এক যুবককে লোমহর্ষক নির্যাতনের ঘটনায় মূল হোতাসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
১৯ অক্টোবর, র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত হত্যা চেষ্টার মামলার আসামিরা ঝিনাইদহ জেলার সদর থানা এলাকায় অবস্থান করছে। ওইদির ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন মুজিব চত্ত্বর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি মোঃ গোলাম হোসেন(৪২) ও মোঃ লুৎফর রহমান(৪২), উভয় থানা-মহেশপুর, জেলা-ঝিনাইদহদ্বয়কে গ্রেপ্তার করে। আসামিদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার ভোলাডাঙ্গা গ্রামের খোদা বক্সের ছেলে বকুল জীবিকার তাগিদে স্ত্রী লতিফা খাতুনকে বাড়িতে রেখে মালয়েশিয়া যায়। প্রায় ৭-৮ বিদেশে কর্মরত থেকে তার অর্জিত ২০/২৫ লাখ টাকা স্ত্রী লতিফা খাতুনের নিকট প্রেরণ করেন। প্রবাসী স্বামী বকুল দেশে ফিরে আসার কথা শুনে স্ত্রী লতিফা তাকে ডিভোর্স দিয়ে পরকীয়া প্রেমিক খালাতো ভাইকে বিয়ে করে। বকুল দেশে ফিরে স্ত্রীকে না পেয়ে তার প্রেরিত টাকা শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের নিটক ফেরৎ চায়। এ বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ একাধিকবার সালিশ বৈঠক বসলেও কোন সুরাহা হয়নি। পরবর্তীতে গত ১৪ অক্টোবর বিকালে স্ত্রী লতিফা ও তার পরিবারের সদস্যরা বকুল(৩০)কে কৌশলে আসামিদের বাড়ীতে ডেকে নিয়ে আসে। তখন বকুলকে গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে আসামিরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে। আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে বকুলকে পিটিয়ে তার হাত পা ভেঙ্গে দেয় ও একটি চোখ নষ্ট করে দেয়। নির্যাতনের ফলে বকুল জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। স্থানীয় লোকজন বকুলকে গুরুতর ও রক্তাক্ত অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ভিকটিম বকুল হাসপাতালে ভর্তি আছে।
এ বিষয়ে ভিকটিমের ভাই ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনা পর থেকে র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।
খুলনা গেজেট/ টি আই