ঝিনাইদহে মানবপাচার মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২০ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মহেশপুরের নলপাড়ুয়া গ্রামের রওশনারা বেগম, ছানোয়ার হোসেন ও বাপ্পী। তাদের বর্তমান ঠিকানা ঝিনাইদহ শহরের ওয়াপদাহ এলাকায়।
রায়ের বিবরণে জানা যায়, পারিবারিক পরিচয়ের জেরে আসামিরা ঝিনাইদহ সদর থানার সোনারদাইড় গ্রামের রহিমা বেগমের বাড়িতে যাওয়া করতেন। তারা বিভিন্ন সময় বাদীর ১৩ বছরের কন্যাকে সেলাই মেশিনের কাজ পাইয়ে দেবে বলে বলতে থাকেন। ২০১১ সালের ২৮ ডিসেম্বর সকালে স্থানীয় কয়েকজনের সামনে তাদের কাছে মেয়েকে তুলে দেয় রহিমা বেগম। এরপর তিন মাস ওই মেয়ের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। এরপর আসামিদের কাছে মেয়েকে ফেরত চাইলে তারা সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। ২০১২ সালের ১৩ মে আসামিদের বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করে। পরে ওই মাসের ৩১ তারিখে মানবপাচার আইনে মামলা করেন ভিকটিমের মা।
তদন্ত শেষে সেই মামলায় পুলিশ ২০১২ সালের ৩০ জুলাই আদালতে চাজশির্ট দাখিল করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক রওশনারা বেগম, ছানোয়ার হোসেন ও বাপ্পীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বজলুর রহমান জানান, ভিকটিম ভারতের একটি জায়গা আড়াই বছর নিরাপদ হেফাজতে ছিল। পরে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। মামলার যে রায় হয়েছে তাতে আমরা খুশি।
খুলনা গেজেট/ এএজে