ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও আহবায়কসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আক্তার হোসেন। সোমবার (৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭টার দিকে শহরের নদীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দু’টি বোমা সদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করেছে পুলিশ। আহতদের মধ্যে তিনজনকে যশোরে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন পৌর যুবলীগের আহবায়ক শফিকুজ্জামান রাসেল, শিপন হোসেন, আশরাফুল ইসলাম, সজিব হোসেনসহ সাতজন।
স্থানীয়রা জানান, নদীপাড়া এলাকায় লোহার পুরাতন জিনিসপত্র ক্রয়-বিক্রয় করা হয়। বিকেলে এলাকার এক শিশু দোকানের জিনিসপত্র নষ্ট করছিল। এ সময় দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সজীব ওই শিশুকে ধমক দিয়ে পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর মাগরিবের নামাজ পড়ে ফেরার পথে সজিব হোসেনকে পিটিয়ে জখম করে কয়েকজন যুবক। পরে এ বিষয়টি জানতে পেরে এলাকার কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ওই দোকানে যান পৌর যুবলীগের আহবায়ক শফিকুজ্জামান রাসেল। সেখানেও বাগবিতণ্ডা শুরু হলে একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে দু’পক্ষের একজন নিহত ও অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আবু আজিফ জানান, তুচ্ছ ঘটনায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আতংক ছড়ানোর জন্য ফেলে রাখা দু’টি বোমা সদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম