ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ৭ম শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকৃত দুই ব্যক্তি হচ্ছে অরিফুল ইসলাম ও রতন মন্ডল। শুক্রবার(৬ মে) সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও ভিকটিমের স্বজন সুত্রে জানা যায়, শৈলকুপার ধাওড়া হাইস্কুলের ৭ম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে কাশিনাথপুর গ্রামের আরিফুল ইসলাম ও ছোট ধলহরাচন্দ্র গ্রামের রিয়াজ নামে দু যুবক স্কুলে যাওয়া আসার পথে উত্যক্ত করতো। ছাত্রীর বাবা প্রতিবাদ করায় তাকে হুমকি দিত।
গত ৪ এপ্রিল ওই ছাত্রী গ্রামের পার্কে গেলে তাকে একটি কুঠিরে নিয়ে ধর্ষণ করে আরিফুল। ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করে রাখে। ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখিয়ে ব্লাকমেইল করতে থাকে মেয়েটিকে। ঈদের দিন পার্কে বেড়াতে গেলে আরিফুল ও রিয়াজ ওই ছাত্রীকে ভয় দেখিয়ে পার্কের ভিতরে একটি কুঠিরে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের ফলে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। ধর্ষণের ঘটনায় পার্কের কর্মচারি রতন মন্ডল সহায়তা করে। মেয়েটির বাবা গতকাল বৃহস্পতিবার(৫ মে) সন্ধ্যায় শৈলকুপা থানায় তিন জনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই আরিফুল ও রতন মন্ডলকে গ্রেপ্তার করে। রিয়াজ পালিয়ে যায়।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, কিশোরী মেয়েটিকে দফায় দফায় ধর্ষণ করা হয়েছে। সেই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইলিং করে আসছিল।