ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই রামপ্রসাদকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সদর উপজেলার ডাকবাংলার এক সার ব্যবসায়ীকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জারি করা আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
পুলিশ সুপার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘অপরাধ করলে কেউ ছাড় পাবে না। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
গত ৭ সেপ্টেম্বর বিকালে সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজারের এক সার ব্যবসায়ী সাধুহাটি ইউনিয়নের পোতাহাটি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক আমিনের ছেলে আনিচুর রহমানকে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়। ধরার পূর্বে পরিকল্পনা অনুযায়ী বাজারের সারপট্টির গলিতে ফেন্সিডিল রাখা হয়।
এরপর হঠাৎ করে এএসআই রামপ্রসাদ সেখানে আসেন এবং ফেন্সিডিল পাওয়া গেছে বলে আনিচুরকে পুলিশ ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যান। পরে এ খবর জানাজানি হলে সাধুহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজির উদ্দিনসহ ওয়ার্ড মেম্বর আনারুল পুলিশ ক্যাম্পে যান। এ সময় ২০ হাজার টাকা দাবি করে এএসআই রামপ্রসাদ। পরে নগদ ১০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় আনিচুরকে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ সুপার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশারকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন।
বুধবার বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাঠে নামেন এবং গভীর রাত পর্যন্ত তদন্ত করেন। বৃহস্পতিবার ফের এলাকার চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে বিকাল ৩ টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আরেক দফায় তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়।
অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সন্ধ্যা রাতে পুলিশ সুপার ওই এএসআইকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার নির্দেশ জারি করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম