পিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুত্রকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের। পিতা আব্দুল জলিলের অভিযোগের ভিত্তিতে পল্লী চিকিৎসক ছেলে নাসির উদ্দীন (৩৭)কে থানা পুলিশ শুক্রবার বিকালে আটক করেছে। শনিবার (২৪ এপ্রিল) ফৌজধারী ১৫১ ধারায় তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
অভিযোগে পিতা আব্দুল জলিল উল্লেখ করেছেন, সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কারণে-অকারণে ছেলে নাসির উদ্দীন তাকে ও তার স্ত্রী রোজিনা বেগমকে মারপিট করে। এ নিয়ে শিত্তরদাহ পুলিশ ফাঁড়িতে কয়েকবার শালিস হয়েছে। সেখানে প্রশাসনের কাছে নাসিরউদ্দীন মুচলেকা দিয়ে আসে কিন্তু বাড়ি ফিরে আবারও একই কাজ করে।
গত বৃহষ্পতিবার সকালে তাদের বাড়িতে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাসির উদ্দীন তার পিতা-মাতা ও বোন পারভীন আক্তার(৩০)কে দা নিয়ে কোপাতে গেলে তারা দৌঁড়ে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়। বাড়িতে ফিরে আসলে আবার তাদের কুপিয়ে হত্যার হুমকি প্রদান করেন। বিষয়টি মৌখিকভাবে শিত্তরদাহ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল মালেক ও এএসআই ওহিদুল ইসলামকে জানালে তারা বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
এরপর ভুক্তভোগী পিতা-মাতা ও বোন ঝিকরগাছা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পিতা আব্দুল জলিলের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকালে নাসিরউদ্দীনকে তার বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, তাদের ঘরে ঢুকে নাসিরউদ্দীন ২টি স্মার্ট ফোন ও তার বোন পারভীন আক্তারের ব্যাগ থেকে ২৬ হাজার টাকা নিয়ে নিয়েছে।
এ ঘটনায় ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক ফোর্স পাঠিয়ে শুক্রবার বিকালে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘এ পর্যন্ত পুলিশ তাকে নিয়ে ৬বার শালিস নিষ্পত্তি করেছে। সংশোধন হওয়ার জন্য তাকে বারবার সুযোগ দেয়া হয় কিন্তু তিনি নিজেকে বদলাতে পারেনি। তার নামে চাকুরী দেয়ার নামে অর্থ আত্মসাত, নারী কেলেংকারীসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।’
এদিকে শুক্রবার বিকালে তাকে আটক করার পরে গ্রামের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে এবং পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। নাসির উদ্দীনের বিভিন্ন ধরণের অপকর্মে গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ ছিল।
খুলনা গেজেট/ এস আই