যশোরের ঝিকরগাছার পল্লীতে পিতার বাড়িতে লিপি খাতুন (৩০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার স্বামী সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা মান্দিয়া গ্রামের আল-আমিন বিশ্বাস শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করেছে বলে মেয়ের মা অভিযোগে জানিয়েছেন।
লিপি খাতুন ঝিকরগাছা উপজেলার হাড়িয়া গ্রামের রাজ্জাক বিশ্বাসের মেয়ে। ১৩ বছর আগে তার সাথে যশোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা মান্দিয়া গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে আল আমিনের বিয়ে হয়। সাংসারিক জীবনে তাদের নাঈম (১১) ও রাঈম (৬) নামে দু’টি ছেলে সন্তান রয়েছে।
লিপির মা সৈরন বিবি অভিযোগ করেন, সম্প্রতি আল-আমিনের সাথে প্রতিবেশি এক নারীর পরকীয়া সম্পর্ক পড়ে ওঠে। ওই নারীর সাথে মোবাইলে কথা বলার সময় আল আমিন একাধিকবার স্ত্রী লিপি খাতুনের হাতে ধরা পড়ে। এ নিয়ে তাদের সংসারে বিরোধ চলছিলো। এ নিয়ে ঈদের আগে লিপি স্বামীর উপর অভিমান করে সন্তানদের নিয়ে ঝিকরগাছায় পিতার বাড়িতে চলে যান। ২৩ মে রোববার সন্ধ্যায় নিজের ভুল স্বীকার করে স্ত্রী ও সন্তানদের নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে ঝিকরগাছায় শ্বশুর বাড়িতে যায় আল আমিন। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি লিপি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পারিবারিক মধ্যস্তায় ঝগড়া নিস্পত্তি করা হয়। রাতে খাবার খেয়ে দু’টি সন্তানসহ লিপি ও আল আমিন একই ঘরে ঘুমাতে যান। গভীর রাতে আল আমিন চিৎকার করতে থাকে লিপি গলায় ফাঁস দিয়ে দিয়েছে। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাতেই ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এসময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
২৪ মে সোমবার সকালে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ লিপির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এখানে লাশের ময়না তদন্ত হয়।
নিহতের মা সৈরন বিবির অভিযোগ, তার মেয়ে লিপি আত্মহত্যা করেনি। রাতে ঘুমিয়ে পড়ার পর পরিকল্পিতভাবে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে জামাই আল আমিন।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি