যশোরে ভিজিএফের ১১ বস্তা চাল উদ্ধার হয়েছে। ঝিকরগাছা উপজেলার ছুটিপুর জামতলা মোড়ে শফির আড়ৎ থেকে এ চাল উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে গোটা উপজেলায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণের জন্য চাল প্রদান করা হয়েছিলো। সেগুলো প্রদান না করে কালোবাজারে বিক্রির জন্য আড়তে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখান থেকে রবিবার (২ জুলাই) ১১ বস্তা চাল উপজেলার ছুটিপুর জামতলা মোড়ের শফির আড়তে আনা হয়। খবর পেয়ে উপজেলা খাদ্য বিভাগের সদস্যরা ওই আড়তে অভিযান চালিয়ে ১১ বস্তা চাল উদ্ধার করেন। এ সময় আড়তে আরও সরকারি তিনটি খালি বস্তা পাওয়া গেছে।
আড়ৎদার শফিকুল ইসলাম বলেন, সকালে পরিষদের দফাদার নজরুল ইসলাম চালগুলো বিক্রির জন্য আড়তে রেখে গেছেন। দফাদার নজরুল ইসলামের দাবি ঈদ উপলক্ষে চেয়ারম্যান সাহেব আমাদের এ চাল দিয়েছেন।
গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য তালিমুল ইসলাম বলেন, ভিজিএফের চাল বিতরণ না করে বিক্রির উদ্দেশ্যে সেখানে নেয়া হয়েছে। যা এরপরে ধরা পড়েছে।
মহিলা সদস্য তানিয়া সুলতানা বলেন, বিতরণের দিন প্রত্যেক গ্রাম পুলিশকে ২০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে, এরপরও চেয়ারম্যান তাদের কিভাবে চাল দিলেন।
দত্তপাড়া গ্রামের মতিউর রহমান বলেন, আমি একজন হতদরিদ্র মানুষ। আমাকে স্লিপ দেয়া হলেও চাল পাইনি। বিতরণের দিন দুপুরে পরিষদে গেলে আমাকে বলা হয় চাল বিতরণ হয়ে গেছে। অথচ এখন এসব চাল কোথা থেকে এলো?
গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান আমিন ঘটনাস্থলে এসে বলেন, ঈদে দুস্থদের মতো পরিষদের গ্রাম পুলিশদেরও চাল দেয়া হয়েছে। তারা এসব চাল বিক্রি করেছে। তবে বিষয়টি মানতে নারাজ উপস্থিত ইউপি সদস্যরা।
উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা পলাশ আহমেদ বলেন, উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহ করা ১১ বস্তায় ভিজিএফের চাল ছুটিপুর জামতলা মোড়ে শফির আড়তে পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান বলেন, উদ্ধারকৃত চাল সিলগালা করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল হক বলেন, ভিজিএফের চাল কেনাবেচা দন্ডনীয় অপরাধ। তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থ নেয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এসজেড