একজন গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) হাতের টিন পিটাচ্ছে, পেছনে তিন চাকার একটি যানে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। তার পেছনে শোকের মাসেই নিশ্চিত হবে শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়ন লেখা ব্যানার টাঙ্গানো পিকাপের পেছনে মাইক খাটানো।
মাইকে বলা হচ্ছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে গ্রামীণ জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর কালজয়ী উদ্যোগে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ কর্মসূচির আওতাই এ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ চলছে। যাঁরা এখনো বিদ্যুত পাননি তাঁরা নির্ধারিত ফি দিয়ে সংযোগ গ্রহন করুন। আপনাদের সেবা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের ‘দুর্যোগে আলোর গেরিলা’ ইত্যাদি।
সোমবার সকালে যশোরের ঝিকরগাছার পানিসারা ইউনিয়নের রাজাপুর হরিজন পাড়ার রাস্তায় দেখা গেছে এ চিত্র। এর কিছুক্ষণ পর সেখানে চলে আসে বৈদ্যুতিক খুটির গাড়ি।
একটি ফরম নিয়ে সেখানে হাজির হন আল মামুন নামে একজন। একদিন আগে তিনি বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ইন্টারনেটে আবেদন করেছিলেন। তাই তাঁর বাড়িতে সংযোগ দিতে এসেছে আলোর গেরিলা। সাথে সাথে আবেদন ফি, জামানত, সদস্য ফি ও ভ্যাটসহ ৫৬৫ টাকা দিতেই কাজ শুরু হলো বিদ্যুৎ সংযোগের। তিনটি খুটি পুতে তার টেনে বাড়িতে মিটার লাগিয়ে দিল আলোর গেরিলারা।
আল মামুন জানান, মাস ছয়েক আগে তিনি এখানে বাড়ি করেছেন। আবেদনের পরের দিনই কোন ঝামেলা ছাড়াই বিদুৎ সংযোগ পেয়ে খুশি তিনি। একই এলাকার শেখ মাহমুদ জানান, তিনিও আলোর গেরিলাদের কাছ থেকে আবেদনের একদিনের মাথায় নতুন বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছেন।
যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ঝিকরগাছা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দেবাশীষ কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, ২০১৮ সালে এ উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছিল। এরপর যেসব নতুন বাড়িঘর হয়েছে তাতে শোকের মাসেই নিশ্চিত হবে শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়ন।
গত ১৫ দিনে ঝিকরগাছা জোনাল অফিসের আলোর গেরিলা ৫০ টি নতুন সংযোগ দিয়েছে। তিনি আরো জানান, একটি নতুন সংযোগের (মিটার) জন্য যতগুলো খুটি লাগে তা দেয়া হবে। নতুন সংযোগের দুই ঘন্টার মধ্যে আলোও জ্বলবে।
খুলনা গেজেট / নাফি