ঝালকাঠিতে ট্রাকের চাপায় অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারের ১৪ যাত্রী নিহতের ঘটনায় ট্রাকের চালক ও সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে ঝালকাঠি পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা সদরের ছত্রকান্দা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার চালক আল আমিন হাওলাদারের বাড়ি ঝালকাঠি সদরের নবগ্রামে। তার সহকারী নাজমুল শেখের বাড়ি খুলনা সদরে।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার দুপুরে জেলার গাবখান সেতুর টোলপ্লাজায় টাকা দেওয়ার অপেক্ষায় ছিল অটোরিকশা, প্রাইভেটকারসহ কয়েকটি গাড়ি। এ সময় সিমেন্টবাহী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা গাড়িগুলোকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে নেমে যায়। এতে প্রাইভেটকার ও অটোরিকশা ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আটজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পরে মারা যায় আরও ছয়জন।
পুলিশ জানায়, ট্রাকটি আল আমিন চালালেও তিনি সেটির মূল চালক নন। বদলি হিসেবে ট্রাক চালচ্ছিলেন তিনি। তার ভারী গাড়ি চালানোর লাইসেন্স নেই।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘আল আমিন খুলনা থেকে ট্রাকে সিমেন্টের বস্তা উঠিয়ে নিজ বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে তার এই গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল না।’
‘তার হালকা যান চালানোর লাইসেন্স ছিল। ঘটনার সময় ব্রেকফেল হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন’, যোগ করেন তিনি।
এদিকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন। আগামী পাঁচদিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম।
খুলনা গেজেট/কেডি