বলিউডের প্রথম সারির তারকা হলেন শাহরুখ খান ও সামলান খান। তাদের দুইজনের বন্ধুত্ব কয়েক দশকের। একসঙ্গে একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন তারা।
এত কিছুর পরও এক সময় নাকি রাগের মাথায় শাহরুখ খানকে গুলি করেছিলেন সালমান খান। সম্প্রতি এক টকশোতে অংশ নিয়ে সরল স্বীকারোক্তি দিলেন বলিউডে ‘ভাইজান’ খ্যাত সালমান খান।
১৯৯৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘করণ অর্জুন’ ছবিতে দুই ভাইয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন শাহরুখ খান ও সালমান খান। দুই ভাইয়ের মায়ের ভূমিকায় ছিলেন রাখি গুলজার। খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন প্রয়াত অভিনেতা অমরিশ পুরী। সেই ছবির সেটেই নাকি শাহরুখকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিলেন সালমান খান।
সালমান খান বলেন, শুটিংয়ের সময় আমাদের খালি বন্দুক দেওয়া হত। আমি আমাদের অ্যাকশন পরিচালক ভিকু বর্মার কাছ থেকে একটা খালি বন্দুক পেয়েছিলাম। একটা পার্টির দৃশ্য শুট হওয়ার কথা তখন। সেটে ভর্তি লোক। আমি তখন শাহরুখকে বললাম, আমি তোকে নাচ করার জন্য ডাকব, তুই তাতে মানা করবি, আমাদের মধ্যে একটা হাতাহাতি হবে। এই যে, খালি বন্দুক রয়েছে, আমি তোকে গুলি করব, আর তুই লুটিয়ে পড়বি। এই পর্যন্ত সব ঠিকঠাক ছিল। তখন শাহরুখ বলল, ও নাকি ক্লান্ত, এখন নাকি ওই দৃশ্য শুট করার ইচ্ছা নেই।
সালমান খান আরও বলেন, আমার ভাই সোহেলও ওখানে ছিল। আমি শাহরুখের হাত টানতেই ও ছিটকে পড়ে যায়। এরপর শাহরুখের সঙ্গে আমার হাতাহাতি হয়। আমি তখন বন্দুক নিয়ে শাহরুখ খানকে গুলি করি। গুলি খেয়ে শাহরুখ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সেখানে জাভেদ আখতারের স্ত্রী হানি ইরানি ছিলেন, একজন সাংবাদিকও ছিলেন।
সেই স্মৃতিচারণ করে সালমান আরও বলেন, ১০ মিনিট ধরে আমরা অপেক্ষা করছি যে শাহরুখ উঠে বসবে, আমার চোখ লাল হয়ে গিয়েছে। আমি শাহরুখকে ডাকছি, ও উঠছে না। যখন ও চোখ খুলছেই না, তখন সোহেল আর ভিকুও চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল। তারপরে শুনতে পেলাম শাহরুখ নাক ডাকছে।
সেটে শাহরুখের সেই দুষ্টুমির ঘটনা নিয়ে সালমান খান আরও বলেন, ছবিতে অর্জুনের পারফরম্যান্সের থেকে ওই নাকডাকা বেশি ভালো ছিল। সবাই বিশ্বাস করে নিয়েছিলেন যে কিছু একটা অঘটন ঘটে গিয়েছে।
এই উদাহরণ দিয়ে সলমন বলেন, শাহরুখের মতো ‘পারফর্মার’ এই মুহূর্তে গোটা দেশে আর এক জন নেই। সম্প্রতি ‘পাঠান’ ছবিতে টাইগারের চরিত্রে শাহরুখের সঙ্গে দেখা গিয়েছে সলমনকে। আগামী ‘টাইগার ৩’ ছবিতেও সলমনের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন শাহরুখ।
খুলনা গেজেট/এনএম