হুঙ্কার ছেড়ে ঠিকই তা কাজে পরিণত করেছেন স্কটিশরা। ম্যাচের স্কটল্যান্ড দলের কোচ শেন বার্জার বলেছিলেন, ‘নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে আমরা সব দলকেই বিপাকে ফেলতে পারব। সংক্ষিপ্ততম সংস্করণ সব দলকেই কাছাকাছি নিয়ে আসে। আমরা জানি, আমাদের সামর্থ্য আছে। যদি নিজেদের সেরাটা দিতে পারি, যে কোনো দলকে হারাতে পারি আমরা, তা বাংলাদেশ হোক বা ওমান ও পাপুয়া নিউগিনি। গ্রুপপর্বে ম্যাচগুলোয় বাংলাদেশকে আমরা পাপুয়া নিউগিনি বা ওমানের চেয়ে ওপরে কোথাও দেখি না।’
তার সেই হুঙ্কারের মান রাখল শিষ্যরা। বাংলাদেশকে ৬ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুর করল স্কটল্যান্ড। স্কটল্যান্ডের ছোড়া ১৪১ রানের তাড়ায় প্রথমে মুশফিক ও শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ-মেহেদির ব্যাটিংয়ে ভর করে ১৩৪ রানে থামে বাংলাদেশ। জয় দিয়ে ম্যাচ শুরুতে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক কাইল কোয়েটজার। তবে এমন জয়ের পরও বাংলাদেশের বোলারদের প্রশংসায় ভাসালেন কোয়েটজার।
বললেন, ‘ম্যাচকে এমন পর্যায়ে নিয়ে আসতে মূলত বাংলাদেশের বোলারদের কৃতিত্ব দিতে হয়। এটা না বললেই নয় যে, বাংলাদেশি বোলাররা যে বিশ্বমানের সেই প্রতিভা দেখিয়েছে তারা। আমাদেরকে কম রানে বেঁধে ফেলেছে। কিন্তু আমাদের স্কোয়াড নিয়ে আমরা দারুণ আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমাদের কেউ না কেউ দাঁড়াবে আর বলকে বাউন্ডারির দড়ির বাইরে পাঠাতে সক্ষম হবে। ক্রিস গ্রেভস আর জস দাভেয় যেটা করে দেখিয়েছে। আমাদের এই জয় এটাই বিশ্ববাসীকে বার্তা দিচ্ছে যে, যে কোনো পরিস্থিতি থেকে উতরে গিয়ে ম্যাচ জিততে পারি আমরা। ম্যাচের মাঝ পথে সতীর্থদের এই কথাটাই আমি বলেছিলাম যে, আমরা এমন চাপের মুখেও জিততে পারি। সবাই শুধু তার সেরাটা বিলিয়ে দেবে, যখন তার থেকে যেটা চাওয়া হয়। আমরা প্রমাণ করেছি যে, আমরা যে কোনো দলকে চাপে রাখতে পারি এবং যে কোনো দলের জন্য হুমকিস্বরূপ আমরা।’