খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ পৌষ, ১৪৩১ | ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

জোড়া খুনের বদলা নিতে খুন!

গেজেট ডেস্ক

কুষ্টিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আমিরুল ইসলাম (৫৫) নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামে আমিরুলের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। কটা মেম্বারের নেতৃত্বে প্রায় ২০ জন হামলা করে তাকে হত্যা করে বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের।

নিহত আমিরুল কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের মৃত সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। তিনি লস্কর গ্রুপের সমর্থক ছিলেন। আর সন্ত্রাসী কটা মেম্বার মণ্ডল গ্রুপের সমর্থক।

আমিরুল ইসলামের স্ত্রী জহুরা খাতুন বলেন, বিকেল ৫টার দিকে মণ্ডল গ্রুপের কটা মেম্বারের নেতৃত্বে প্রায় ২০ জন লোক আমিরুলের বাড়িতে এসে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কটা মেম্বার ও তার গ্রুপের লোকজন আমার স্বামীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।

এ বিষয়ে নিহতের মেয়ে সুমনা খাতুন বলেন, আমার বাবা সিঙ্গাপুরে ছিলেন। গত দেড় বছর আগে দেশে এসেছে। আমার বাবা ভালো মানুষ ছিল। নিরপরাধ মানুষটাকে নির্মমভাবে হত্যা করল কটা মেম্বারের লোকজন। আমরা কটা মেম্বার ও তার সন্ত্রাসীদের ফাঁসি চাই।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, আধিপত্য বিস্তার, সমাজপতিদের দলাদলি ও উসকানিতে ২০২০ সালের ৩১ মার্চ ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে নেহেদ আলী (৬৫) ও বকুল আলী (৫৫) নামের আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনার পরদিন নিহত নেহেদ আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১ এপ্রিল ২৮ জনকে আসামি করে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে যায় প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আজকের এই হত্যাকাণ্ড। প্রতিপক্ষের লোকজনই আমিরুল ইসলামকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল আলম বলেন, সন্ধ্যার দিকে মৃত অবস্থায় আমিরুল ইসলামকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখমের চিহ্ন রয়েছে। আমিরুল ইসলামের মরদেহ হসপিটালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে আমিরুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে। পূর্বের হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় আসায় বিরোধী পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে আমিরুল নিহত হয়েছেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। অপরাধীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!