খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৭ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান গ্রেপ্তার
  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১২২৫
  পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হিসেবে খোরশেদ আলমের নিয়োগ বা‌তিল : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
  সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

জেনে নিন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের খুঁটিনাটি

বিনোদন ডেস্ক

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ৪৫তম আসর বসছে বুধবার (২৩ মার্চ)। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রের হল অব ফেমে দেওয়া হবে ২০২০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। চলুন দেখে নেওয়া যাক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আদ্যোপান্ত।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ও সর্বোচ্চ সম্মাননা হলো ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’। চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ১৯৭৫ সালে ১২টি বিভাগে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল।

যেসব ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয় পুরস্কার: শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ পরিচালক, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা, অভিনেত্রী, খল অভিনেতা, পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা-অভিনেত্রী, শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী, সংগীতশিল্পী (নারী-পুরুষ), শ্রেষ্ঠ গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালকসহ মোট ২৭টি বিভাগে দেওয়া হয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০০৯ সাল থেকে যুক্ত হয়েছে আজীবন সম্মাননা ক্যাটাগরি।

ব্যতিক্রম: ১৯৮১ সালে দেওয়া হয়নি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সে বছর মুক্তিপ্রাপ্ত কোনো সিনেমাকে পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য মনে করেনি জুরি বোর্ড। এ ছাড়া ২০০৪, ২০০৫, ২০০৬ ও ২০০৭ সালের পুরস্কার একসঙ্গে দেওয়া হয় ২০০৮ সালে।

যেভাবে বাছাই করা হয়: প্রাপ্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে মনোনীতদের সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করে জুরি বোর্ড। ক্যাটাগরিভিত্তিক সে তালিকা পাঠানো হয় তথ্য মন্ত্রণালয়ে। তারপর ক্যাবিনেটের অনুমোদনসাপেক্ষে ঘোষণা করা হয় জয়ীদের নাম।

পুরস্কারে যা থাকে: পুরস্কার জয়ীদের দেওয়া হয় ১৮ ক্যারেট মানের ১৫ গ্রাম স্বর্ণের একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র। আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্তদের দেওয়া হয় তিন লাখ টাকা। এ ছাড়া বাকি ক্যাটাগরিগুলোতে দেওয়া হয় এক লাখ টাকা।

পুরস্কার প্রত্যাখ্যান: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার। শুরুটা হয়েছিল শাবানার মাধ্যমে। ১৯৭৭ সালে ‘জননী’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছিলেন শাবানা। তিনি তা গ্রহণ করেননি। ১৯৮২ সালে শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন সৈয়দ শামসুল হক। ‘নতুন বউ’ সিনেমার জন্য ১৯৮৩ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সুবর্ণা মুস্তাফা। গোলাম মুস্তফাও শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ১৯৯০ সালে। ২০১৬ সালে হাবিব শ্রেষ্ঠ নৃত্যপরিচালক, ২০১৮ সালে মোশাররফ করিম শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতার পুরস্কার গ্রহণ করেননি।

 

খুলনা গেজেট/কেএ




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!