এবার আয়ারল্যান্ড সিরিজ দিয়ে তিন বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছিল সিলেটে। তবে আরেকটি আন্তর্জাতিক সিরিজ পেতে এই ভেন্যুতে বেশি অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। জুন মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টেস্ট সিলেটে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আসছে জুনে তিন ম্যাচের ওয়ানডে, দুই টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা রশিদ খানদের। আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুযায়ী। টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে শঙ্কা থাকলেও বিশ্বকাপ প্রস্তুতি মাথায় রেখে ওয়ানডে হচ্ছে নিশ্চিতভাবেই। দুই টেস্ট কোন কারণে না হলেও হবে একটি টেস্ট।
জানা গেছে, ওয়ানডে সিরিজের সবগুলো ম্যাচই হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। দুই টেস্টের একটিও হওয়ার কথা সিলেটে। টি-টোয়েন্টি সিরিজ হবে মিরপুরে। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ কোন কারণে বাতিল হলে একমাত্র টেস্ট নিয়ে যাওয়া হতে পারে ঢাকায়।
বিসিবি পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল দ্য ডেইলি স্টারকে আফগান সিরিজের খেলা হওয়ার কথা জানিয়েছেন, ‘হ্যাঁ, আফগানিস্তান সিরিজের খেলা আমরা পাচ্ছি। আশা করি সব ঠিকমতো হবে। তবে কোন সংস্করণের খেলা হবে তা এখনি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।’
বৃহস্পতিবার সিলেটে আয়ারল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষকে স্রেফ ১০১ রানে গুটিয়ে অনায়াসে ম্যাচ জিতে তামিম ইকবালের দল। এর আগে প্রথম ওয়ানডেতে ৩৩৮ রান করে ১৮৩ রানের বিশাল জয় পায় স্বাগতিকরা। পরের ম্যাচে ওয়ানডে ইতিহাসে নিজেদের সর্বোচ্চ ৩৪৯ রান করে বাংলাদেশ, বৃষ্টিতে পরে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। ওই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি করে রেকর্ড করেন মুশফিকুর রহিম।
সিলেটের মাঠে খেলা এখনো পর্যন্ত ৭ ওয়ানডের ৬টিতেই জিতেছে বাংলাদেশ, একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ফল হয়নি। এই মাঠে দলীয় সর্বোচ্চ পুঁজি, ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ সংগ্রহ, দ্রুততম সেঞ্চুরির মতো অনেকগুলো রেকর্ড আছে। টানা পাঁচটি তিনশো ছাড়ানো পুঁজিও এক ভেন্যুতে করেছে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের আগে সিলেটের মতো স্পোর্টিং উইকেটে খেলার প্রয়োজনীয়তা দেখছেন তামিম ইকবালও, ‘ইংল্যান্ড সিরিজেই আমি বলেছি আপনারা ভবিষ্যতে দেখবেন আমরা এমন উইকেটে খেলব। একটা ওয়ানডে চট্টগ্রামে যাওয়াটা একটা পদক্ষেপ ছিল। এখানে এসে আমরা উইকেটে ভালো পরিমাণে ঘাস রেখে দিয়েছি। সাধারণত ঘাসের উইকেটে আমরা খুব বেশি খেলি না। বিশ্বকাপের কথা ভেবে, সামনের যে সিরিজগুলো আছে, এ কারণেই এমন উইকেটে খেলা। কারণ, আপনি যখনই এই ধরনের উইকেটে খেলবেন, বিশেষ করে ঘরের মাঠে, তখন লড়াইটা সমান হয়ে যায়।’
খুলনা গেজেট/এনএম