চেনা টার্ফে খেলা। স্বপ্নটাও তাই বেশ বড়। হকির জুনিয়র বিশ্বকাপে খেলতে চায় বাংলাদেশ। সে লক্ষ্যে রোববার থেকে অনুশীলন শুরু করবে দল। কোচ মামুনুর রশীদ জানালেন, প্রস্তুতির জন্য হাতে যথেষ্ঠ সময় ও ভালো খেলোয়াড় আছে। আছে লক্ষ্য পূরণের সামর্থ্যও।
আগামী বছর ২১ জানুয়ারি ঢাকায় মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে শুরু হবে অনূর্ধ্ব-২১ জুনিয়র হকি চ্যাম্পিয়নশিপ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে এ প্রতিযোগিতার নাম দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু অনূর্ধ্ব-২১ জুনিয়র হকি চ্যাম্পিয়নশিপ।
ডাক পাওয়া ৩৬ জন খেলোয়াড় শনিবার রিপোর্টিং করেছেন কোচের কাছে। শুরুতে ফিটনেস ফিরে পাওয়ার দিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানালেন কোচ।
“হাতে সময় আছে ৮০ থেকে ৮৫ দিন। এখানে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এই সময়ের মধ্যে দলটাকে গুছিয়ে নিতে হবে। শুরুতে ফিটনেস নিয়ে কাজ করব। আশা করছি, আমরা নিজেদের টার্ফে ভালো খেলব।”
“জুনিয়র বিশ্বকাপের জন্য ঢাকার এই বাছাইয়ে ভালো করতে পারব বলে আশা করি। তা করতে হলে ভারত-কোরিয়া সহ বড় দলগুলোর বিপক্ষে ভালো খেলতে হবে। আর আমাদের সেই শক্তি আছে।”
বঙ্গবন্ধু জুনিয়র এশিয়া কাপ হকিতে স্বাগতিক বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, চাইনিজ তাইপে, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ওমান, উজবেকিস্তান ও পাকিস্তানের খেলা কথা। সেরা তিনটি দল ভারতে জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। মূল লড়াইয়ে নামার আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে চান রশীদ।
“প্রতিযোগিতা শুরুর আগে যদি বড় দল যেমন ভারত-কোরিয়ার মতো দলগুলোর বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে পারি, তাহলে দলের ভুল-ত্রুটিগুলো দেখতে পাব।তখন আসল লড়াইয়ের আগে নিজেদের প্রস্তুতিটা সেভাবে নিতে পারব।”
আপাতত পাঁচ দিন হকি স্টেডিয়ামেই থাকবে খেলোয়াড়রা। এই সময়ে সবার করোনাভাইরাস পরীক্ষা, ফিটনেস অনুশীলন হবে। এরপর দল যাবে আবাসিক ক্যাম্প বিমান বাহিনীর বঙ্গবন্ধু ঘাঁটিতে। সেখান থেকে স্টেডিয়ামে এসে অনুশীলন চলবে বলে জানালেন কোচ।
খুলনা গেজেট/এএমআর