খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনি রোডম্যাপ দেয়ার আহবান বিএনপির: মির্জা ফখরুল
  চলমান ইস্যুতে সবাইকে শান্ত থাকার আহবান প্রধান উপদেষ্টার: প্রেস সচিব
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৮

জুট মিল থেকে বিশ হাজার টন চাল জব্দ, গুদাম সিলগালা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট

অতিরিক্ত মুনাফার জন্য মজুদ করা ২০ হাজার মেট্রিকটন চাল জব্দ করেছেে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারি)সন্ধ্যায় উপজেলার লখপুর এলাকার এএমএম জুট মিলের গোডাউন থেকে এই চাল জব্দ করা হয়। অবৈধ মজুদের অপরাধে গুদামের দায়িত্বে অলোক চক্রবর্ত্তী নামের এক ব্যক্তিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গুদামটি সিলগালা করে রাখা হয়েছে। বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার রুবাইয়া বিনতে কাশেম ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক হিসেবে এই আদেশ দেন।

এ সময়ে র‌্যাব-৬ খুলনার কোম্পানি কমান্ডার মোঃ বদরুদ্দৌজা, বাগেরহাট জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা মোঃ সুজাত হোসেন খান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

র‌্যাব-৬ খুলনার কোম্পানি কমান্ডার মোঃ বদরুদ্দৌজা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গুদামের মধ্যে বিপুল পরিমাণ চাল পাওয়া যায়। এই চালগুলো অতিরিক্ত দামে বিক্রির আশায় মজুধ করা হয়েছিল।

গুদামের দায়িত্বে থাকা অলোক চক্রবর্ত্তীর দাবি, জব্দ চালগুলো সরকারি গুদামে দেওয়ার জন্য আমদানি করা হয়েছিল। চালগুলো নষ্ট হওয়ায় আর গুদামে দেওয়া যায়নি।

বাগেরহাটজেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা মোঃ সুজাত হোসেন খান বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী এই চাল আমদানি করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে চালের মান খারাপ বলে চালগুলো আর সরকারি খাদ্য গুদামে দেয়নি চাল ব্যবসায়ী। আসলে মাত্র দুই-তিন বস্তা চাল খারাপ হতে পারে। বাকি চাল ভাল। গুাদেম ২০ হাজার মেট্রিকটন চাল রয়েছে। জুট মিলে এত চাল থাকার কথা নয়। সব চাল ভাল থাকা স্বত্তেও তারা চাল নষ্ট বলছে। অতিরিক্ত মুনাফার উদ্দ্যেশ্য এই চাল মজুদ করা হয়েছিল। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গুদামটি সিলগালা থাকবে।

চালের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত হবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোঃ সুজাত হোসেন খান বলেন, চাল আমদানি কারক বৈধ কাগজপত্র ও খাদ্য বিভাগের নির্দেশনা নিয়ে, জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করবেন। জেলা প্রশাসক তার কাগজপত্র, চালের পরিমাণ, স্থানীয় স্বাক্ষীদের বক্তব্য ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে যে সিদ্ধান্ত দিবেন তাই হবে।

খুলনা গেজেট/ এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!