খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ পৌষ, ১৪৩১ | ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গাজীপুরে কারখানায় আগুন : নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২
  হাইকোর্টের বেশ কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে অনিয়ম তদন্তে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৬৫

জীবিত আছেন স্বামী, স্ত্রী ভোগ করছেন বিধবা ভাতা

গে‌জেট ডেস্ক

স্বামী জীবিত থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে বিধবা ভাতার সুবিধাভোগ করে আসছেন আনু বেগম নামের এক গৃহিণী। তিনি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভায় চাঁদগ্রাম ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আনু বেগমের স্বামী ফজল হক জীবিত। তারা একসঙ্গে একই বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বসবাস করেন। তার স্বামী এক মসজিদের মোয়াজ্জিন এবং খাদেম। পাশাপাশি তিনি নিজ ব্যবসা পরিচালনা করেন।

সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে তিনি যে সুবিধা ভোগ করে আসছেন তা কেবল বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তার স্বামী ফজল হক কালবেলাকে বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমি আমার স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমাদের চার মেয়ে দুই ছেলে। আমাদের মধ্যকার সম্পর্ক চমৎকার। তার বিধবা কার্ডের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।

ভেড়ামারা সোনালী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত মাসিক ১৫০০ টাকা বিধবা ভাতা হিসেবে সে ব্যাংক থেকে তুলেছেন। পরবর্তীতে তা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তোলার পদ্ধতি চালু হয় বলে জানা যায়। এর আগে সমাজসেবা কার্যালয় থেকে বইয়ের মাধ্যমে টাকা তুলতেন। তার বই নাম্বার ২৩৪৫।

এ বিষয়ে আনু বেগম বলেন, আমার বিধবা ভাতার কার্ড আছে। আমার স্বামীও জীবিত আছে। অল্প কিছুদিন ধরে আমি এই সুবিধা ভোগ করছি। সাবেক স্থানীয় কাউন্সিলর আমাকে এ কার্ড করে দিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সুবিধাভোগীর পরিবার যথেষ্ট সচ্ছল ও তাদের দোতলা বাড়ি আছে। ছেলে এবং স্বামীর মাসিক আয়ও ভালো। দীর্ঘদিন ধরেই সে বিধবা ভাতা তুলছে।

স্থানীয় কাউন্সিলর সবুজ বলেন, এ বইটা অনেক আগের বই। আমরাও এ বিষয়টা জানতাম না। আপনাদের মাধ্যমেই জানতে পেরেছি।

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ইমদাদুল হক বিশ্বাস বলেন, আনু বেগমের ব্যাপারে আমরা আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হলে খুব দ্রুতই তার বই বাতিল করা হবে। বইটি খুব সম্ভবত ২০১৮-১৯ সালের দিকে খোলা হয়েছে। আমি এখানে নতুন এসেছি। পরবর্তীতে আরও সতর্কতার সাথে কাজ করব।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!