করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে সারাদেশে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন চলছে। লকডাউনের তৃতীয় দিনেও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের শক্ত অবস্থান ছিল চোখে পড়ার মতো। কঠোর লকডাউনের মধ্যে রাস্তাঘাটে মানুষ বের হলেই ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে অযথা বের হলেই গুনতে হচ্ছে জরিমানা।
শনিবার (৩ জুলাই) সকাল থেকে জীবননগর উপজেলার প্রত্যেক শহরের ব্যস্ততম সড়ক ও মোড়গুলোতে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। ভোর থেকে দৈনন্দিন কাজে মানুষ বের হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের চলাচল কমে যায়। সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন প্রতিপালনে সকাল থেকেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় টহল অব্যাহত রেখেছে। মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকা সড়কগুলোতে সেনাবাহিনীর কয়েকটি টিম টহল দিচ্ছে। তবে বিভিন্ন বাজারগুলোতে আইন অমান্য করে অনেকেই দোকান খোলা রেখেছেন। যেখানে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি।
এদিকে কঠোর লকডাউন’র তৃতীয় দিনে উপজেলায় সরকারি বিধিনিষেধ ও লকডাউনের আইন অমান্য করায় ১০টি মামলায় ৬ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও বিনা কারণে বাইরে বের হওয়ায় একাধিক ব্যক্তিকে মুচলেকা নেয়া হয়েছে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতিটি উপজেলায় পুলিশ সদস্যরা মানুষকে সচেতন করতে কাজ করছে। কেউ যাতে অপ্রয়োজনে ঘরের বাহিরে বের না হয়, মাস্ক ব্যবহারসহ বিধিনিষেধ প্রতিপালনে মানুষকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মুনিম লিংকন জানান, জীবননগর সীমান্তবর্তী এলাকায় করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে। দিনদিন অবস্থা খারাপ হচ্ছে। মানুষ এর ভয়াবহতা গণমাধ্যমে দেখছে। এরপরেও তারা সচেতন হচ্ছে না।
খুলনা গেজেট/ টি আই