চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্ত ইউনিয়নে বাঁশ বাগানের মধ্যে একটি বাড়ি। টিনের দুই রুমের ঘর নেই কোন বারান্দা। থাকতেন ৪৫ বছরের ভ্যান চালক শমসের । শসসেরের ১ ছেলে ও ১ মেয়ে থাকলেও তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না। অনেকটা নির্বান্ধব, নিঃসঙ্গ। করুণ মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তার এই অস্বাভাবিক জীবনের অবসান হয়েছে। নিজ ঘরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান তিনি।
শনিবার বিকেলে ধান্যখোলা স্কুলপাড়ার মোঃ মল্লিক মন্ডলের ছেলে শমসের আলীর মৃত্যুর ২/৩ দিন পর দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশী জানতে পারেন মারা যাওয়ার খবর।
স্থানীয় ও প্রতিবেশী সূত্রে জানা গেছে, ভ্যান চালক শমসের ৫/৬ বছর ধরে পরিবার ছাড়ায় একাই আলাদাভাবে দুই রুমের টিনের ঘরে বসবাস করতেন।স্ত্রী,এক ছেলে ও এক মেয়ে তারা থাকতেন শশুর বাড়ি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড তেতুলিয়া গ্রামে। তাদের সাথে তার কোন যোগাযোগ ছিলো না। তিনি দিনে পাখিভ্যান চালাতেন রাতে একাই এখানে থাকেতন। শনিবার বিকেলে ওই ঘর থেকে পচা দুর্গন্ধ ছাড়ালে আশেপাশে লোকজন দেখতে পান শমসের শরীরে বিদ্যুৎতের তার পেচিয়ে মরে পড়ে আছেন। তার শরীর থেকে পঁচা দুর্গন্ধ ছাড়াচ্ছে। ধারনা করা যাচ্ছে সেখানে অনেকটা অরক্ষিত ভাবে হাই ভোল্টেজ বিদ্যুৎ এ রান্না-বান্নাসহ তার পাখি ভ্যানটি চার্জ দিতো। তখনই অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎতের তারে পেঁচিয়ে তার মৃত্যু হয়। লাশ দেখে ধারণা করা হচ্ছে ২/৩ দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে। থানায় খবর দিলে পুলিশ সন্ধ্যা পর ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করেন।
৪নং সীমান্ত ইউপি সদস্য মোঃ আসাদ বলেন, শমসেরের প্রতিবেশীর কাছ থেকে জানতে পারি সে কারেন্টে শর্ট লেগে ঘরের ভিতরে দুই দিন ধরে মরে পড়ে ছিলো। তার সাথে পারিবারিকভাবে কারো যোগাযোগ না থাকায় বিষয়টি কেউ বুঝতে পারেন নি।শনিবার বিকেলে প্রতিবেশিরা দুর্গন্ধের কারণে মৃত্যুর খবর জানতে পারে। আমি নিজে দেখে আসলাম। এটা একটি করুন মৃত্যু।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আব্দুল খালেক জানান, ওই ঘটনায় কারো কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।