চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তারা সম্পর্কে চাচাতো বোনের। একই পরিবারে দুটি শিশু’র মৃত্যুতে পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। শনিবার (২৫ মে) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের শাখারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শিশুরা হলো- একই গ্রামের মসজিদ পাড়ার আশরাফুল হক ছয় বছর বয়সী মেয়ে তাবাসসুম ও তার ছোট ভাই রাজু আহাম্মেদের পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে রিতু। তারা উভয় শাখারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় ও দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রী।
মৃত শিশুদের দাদা কাশেম মন্ডল বলেন, পরিবারের সকলে বেলা এগারোটার দিকে তিতুদহে আমার এক আত্মীয়র জানাযায় শেষ করে বাড়ি আসি। বাড়ি ফিরে আসার পর আমি বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে বসে থাকি তখন তাবাসসুম ও রিতু দুই বোন খাবার খেতে খেতে আমার কাছে এসে কিছুক্ষন বসে খাবার খাওয়া শেষ করে একজন বসে থাকে আর একজন শুয়ে থাকে। একটু পর তারা বাড়ি চলে যায়। আধা ঘণ্টা পর তাদের কোথায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন আশেপাশে খোঁজ খুঁজির এক পর্যায়ে নিজাম খাঁ’র পুকুর পাড়ে তাদের স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখে আমি পুকুরে নেমে ওদের খুজতে থাকি, তখন আমার হাতে ওদের মৃতদেহ বাধে।
স্থানীয়রা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বাড়ির পাশে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলছিল তাবাসসুম ও রিতু। খেলাধুলার পর বাড়ির পাশে নিজাম খাঁর পুকুরে যায় তারা। দীর্ঘ সময় শিশু দুটি বাড়িতে না ফেরায় স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বেলা দেড়টার দিকে নিজাম খাঁর পুকুরের পাড়ে শিশু দুটির স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা পুকুরের পানিতে নামেন। এরপর শিশু দুটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, পুকুরে কদিন আগে নতুন মাছ ছাড়া হয়েছে। কিছু মাছে মরে ভেসে আছে ধারনা করা হচ্ছে পুকুরের মরা মাছ তুলতে গিয়ে হয়তো তারা ডুবে যায়। লাশ উদ্ধারের পর মাগরিবের নামাজের পর জানাযা শেষে গ্রামের কবর স্থানে তাদের লাশ দাফন সম্পূর্ণ হয়েছে।
সীমান্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন মোল্লা বলেন, ‘খেলার সময় পুকুরে পড়ে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া শিশুদের লাশ মাগরিবের পর দাফন সম্পূর্ণ হয়েছে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। এছাড়াও পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি