সাদা পোশাক এমন আধিপত্য শেষ কবে দেখিয়েছে বাংলাদেশ দল? বছরের শুরুতে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে চার দিন রাজত্ব করেও শেষদিনে ম্যাচ হেরে গিয়েছিল টাইগাররা। তবে যাত্রায় সে একেবারেই ক্ষীণ। খুব বেশি আশাবাদী মানুষটিও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাজি ধরবেন না। ম্যাচ জিততে হলে তাদের করতে হবে ৪৭৭ রান।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে স্বাগতিকদের সামনে বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে টাইগাররা। আগের ১৯২ রানের লিডের সঙ্গে যোগ করেছেন আরও ২৮৪ রান। সবে মিলিয়ে এই ম্যাচ জিততে রীতিমতো অসাধ্য সাধন করতে হবে জিম্বাবুয়েকে।
পরিসংখ্যা বলছে এর আগে কখনোই ২০০ রানের লক্ষ্যও তাড়া করে জিততে পারেনি জিম্বাবুয়ে। সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটি ১৯৯৮ সালে। পাকিস্তানের বিপক্ষে পেশওয়ারে সেবার অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল, গ্রান্ট ফ্লাওয়াররা ১৬২ রান তাড়া করে ৭ উইকেটে জিতেছিলেন।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দেড়শ রানের সৌজন্যে স্কোর বোর্ডে ৪৬৮ রান তোলে টাইগাররা। পরে জিম্বাবুয়ে তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামলে মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণির সামনে সুবিধা করতে পারেননি। তাদের ইনিংস থামে ২৭৬ রানে। এতে ১৯২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে অধিনায়ক মুমিনুল হকের দল।
গতকাল (শুক্রবার) ম্যাচের তৃতীয় দিন কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৪৫ রান তোলে বাংলাদেশ দল। আজ (শনিবার) চতুর্থ দিনে জিম্বাবুয়ে বোলারদের উপর দিয়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালান সাইফ হাসান, সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্তরা। মধ্যহ্নভোজের বিরতিতে যাওয়ার আগে সাইফের (৪৩) উইকেট হারিয়ে আরও ১২৪ রান যোগ করে বাংলাদেশ। এতে ১ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানের সংগ্রহ পায়।
বিরতি শেষে দ্বিতীয় সেশনে খেলা শুরু হলে আরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন শান্ত। সাদমানও কম যাননি। ২৮৪ রানে ইনিংস ঘোষণার আগে নিজের অভিষেক শতক তুলে নেন সাদমান। ইনিংসের ৬২তম ওভাতে মিল্টন শুম্বার করা চতুর্থ বলটি মিড উইকেটে পাঠিয়ে ২ রান নিয়ে শতকের আনন্দে ভাসেন তিনি। একই একই পথে হেঁটে এই ফরম্যাটে নিজের দ্বিতীয় শতকের দেখা পান শান্তও।
পরে শান্তর অপরাজিত ১১৭ ও সাদমানের অপরাজিত ১১৫ রানের কল্যাণে ২৮৪ রানে তুলে ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারীরা। এতে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪৭৭ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ের সামনে।
খুলনা গেজেট/এনএম