কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় বহির্নোঙরে এলপিজিবাহী একটি লাইটারেজ (ছোট জাহাজ) জাহাজে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। জাহাজটিতে আগুন লাগার পরপরই এর পাশে থাকা মাদার ট্যাংকারে আগুন ধরে যায়। তবে মাদার ট্যাংকারটির আগুন কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নেভানো সম্ভব হলেও লাইটারেজের আগুন এখনো পুরোপুরি নেভেনি। রবিবার (১৩ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় প্রতিবেদন তৈরির সময় পর্যন্ত দুই জাহাজ থেকে জীবিত ৫৮ জন নাবিককে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে আগুন নেভাতে কাজ করছে চট্টগ্রাম বন্দরের চারটি উদ্ধারকারী জাহাজ, মাদার ভেসেলের (বড় জাহাজ) নিজস্ব টাগবোট এবং নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের টিম। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল শনিবার রাত ১টার দিকে কুতুবদিয়া উপকূলের পশ্চিমে বহির্নোঙরে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দুই জাহাজের আগুন নেভানো গেছে।
তবে লাইটার জাহাজ থেকে মাঝেমধ্যে আগুন বের হচ্ছে। লাইটারেজ জাহাজের ৩১ জন নাবিককে উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে মাদার ভেসেল ‘ক্যাপটেইন নিকোলাস’ থেকেও উদ্ধার করা হয়েছে ২৭ জন নাবিককে। সবাই এখন বিপদমুক্ত।
এখনো আমাদের উদ্ধারকারীদল, নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড সেখানে কাজ করছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনা তদন্তে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। কমিটির প্রধান করা হয়েছে বন্দরের সদস্য (হার্বার অ্যান্ড মেরিন) কমোডর এম ফজলার রহমানকে। এই কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। কমিটিতে নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ডিজিএফআই, এনএসআই, নৌপরিবহন অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা আছেন।
জানা যায়, বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় এলপিজিবাহী (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) জাহাজে গতকাল (শনিবার) রাত ১টার সময় আগুন লাগে। ‘ক্যাপ্টেন নিকোলাস’ নামের মাদারভেসেল (বড় জাহাজ) থেকে শিপ টু শিপ পদ্ধতিতে আরেকটি লাইটারেজ জাহাজে (ছোট জাহাজ) এলপিজি স্থানান্তরের সময় এই আগুন লাগে।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ইস্ট জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন জহিরুল হক বলেন, লাইটারেজের শুধু পেছনের দিকের একটি অংশে আগুন জ্বলছে। বাকিটা নেভানো সম্ভব হয়েছে। ট্যাংকারটির পেছনের একটি অংশে কার্গোহোল্ডে পর্যাপ্ত গ্যাস রয়ে যাওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে। আগুন নিভে যাওয়ার পর আবারও জ্বলে উঠছে। তাই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে আরো কিছুটা সময় লাগবে।
খুলনা গেজেট/এএজে