আল-কাদির ট্রাস্ট মামলার বিষয়ে স্থানীয় সময় আজ (শুক্রবার) সকাল ১১টায় ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) হাজির হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ বৃহস্পতিবার আইএইচসি প্রাঙ্গণ থেকে ইমরানের গ্রেফতারকে ‘অবৈধ এবং বেআইনি’ বলে ঘোষণা করার একদিন পর আবার আদালতে যান ইমরান।
ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মঙ্গলবার দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করা হয় ইমরান খানকে। একটি মামলায় তিনি সেখানে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার ইমরানের গ্রেফতার পর পর সারা দেশে পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনীর সঙ্গে পিটিআই সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে প্রায় এক ডজন লোক নিহত হয়। পরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনীকে ডাকা হয়।
এরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে আট দিনের রিমান্ডে নেয় দুর্নীতি দমন সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)। এর আগে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরানের গ্রেফতারকে বৈধতা দেয়।
বৃহস্পতিবার বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালতের নজরে আসলে, এই গ্রেফতারকে অবৈধ বলে ঘোষণা দেয় তিন বিচারপতির একটি বেঞ্চ। ইমরানকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে বলেন তারা।
শুক্রবার সকালে টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, ইমরানের উপস্থিতির আগে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
অন্যদিকে পিটিআই বলেছে, সমর্থকরা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে ইসলামাবাদের জি-১৩-এর শ্রীনগর হাইওয়েতে জড়ো হবে। দলটি আরও বলেছে, ইমরান আদালতের কাজ শেষ করে বক্তৃতা দেবেন।
এদিকে নতুন সহিংসতার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা করা হয়। যদিও আইনি প্রক্রিয়ায় বাধা না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পিটিআই নেতারা।
ইসলামাবাদ পুলিশ জানায়, আমরা সবাইকে শান্তির বিঘ্ন না করার জন্য অনুরোধ করছি। জনসাধারণকে উসকানি দেওয়া হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেছেন, কর্তৃপক্ষ ইমরানকে আবারও গ্রেফতার করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে আবার গ্রেফতার করব। তিনি যদি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান, তাহলে আমরা জামিন বাতিলের জন্য অপেক্ষা করব এবং তাকে আবার গ্রেফতার করব’।
সূত্র: দ্য ডন।
খুলনা গেজেট/এনএম