বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ইস্যুতে আপিল শুনানি আগামী ১০ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৭ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
উচ্চ আদালতের রায়ে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পর রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে নিবন্ধন দাবি করায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয় শুনানির জন্যে আজ কার্যতালিকায় ছিল।
শুরুতেই বিষয়টি মেনশন করেন রিটকারি আইনজীবী ব্যারিস্টার তানীয়া আমীর। আপিল বিভাগকে তিনি বলেন, মামলা কার্যতালিকার মধ্যেই ৪ আগস্ট জামায়াত সমাবেশ করলে আদালত অবমাননা হবে। এসময় আপিল বিভাগ বলে ন আদালত অবমাননার আবেদন আনুন। পরে আদালত শুনানির এ দিন ধার্য করেন।
জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এবং তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে গত ২৬ জুন আবেদন করেছেন মওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, মো. হুমায়ুন কবির ও ইমদাদুল হক নামে তিন ব্যক্তি।
রিটকারি আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়ার আমীর বলেন, জামায়াতের বিরুদ্ধে আমরা দুটি আবেদন করেছি। তার মধ্যে একটি হলো আদালত কর্তৃক নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পর রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে সেই নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়ার দাবি করেছে তারা, যেটা আদালত অবমাননার শামিল। আরেকটি হলো জামায়াতের ব্যানারে বা তাদের প্রতীক ব্যবহার করে রাজনৈতিক সব ধরনের কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। চেম্বার আদালত আবেদন দুটি গ্রহণ করে শুনানির জন্য ৩১ জুলাই দিন ঠিক করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়েছে।
এক দশকেরও বেশি সময় পর পুলিশের মৌখিক অনুমতি নিয়ে গত ১০ জুন রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সমাবেশ করে জামায়াত। সমাবেশে তারা নিজেদের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়ার দাবি করে এবং দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তি চায়। আবার আগামী ৪ আগস্ট সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছে জামায়াত।
রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নেই। মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দলটির শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এমনকি সংগঠন হিসেবেও জামায়াতকে এই অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া সরকারবিরোধী আন্দোলনে জ্বালাও-পোড়াও, নাশকতাসহ সার্বিক প্রেক্ষাপটে ২০১৩ সাল থেকে জামায়াতের স্বাভাবিক কার্যক্রম দেখা যাচ্ছিল না।
গত ১০ জুনের আগে পুলিশের অনুমতি নিয়ে দলটি রাজধানীতে সর্বশেষ বিক্ষোভ মিছিল করে ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন মতিঝিলে কর্মসূচিটি পালন করে তারা।
খুলনা গেজেট/এনএম