বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খুলনা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি ও খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র আইনজীবী লস্কর শাহ আলম বলেন, জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে বিচারের নামে হত্যা করে এবং মিথ্যা মামলায় অসংখ্য নেতৃবৃন্দকে কারাগারে বন্দি করেও জামায়াতে ইসলামীকে শেষ করা যায়নি।
জামায়াতে ইসলামী খুলনা বার শাখার উদ্যোগে বুধবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ৩টয় আইনজীবী সমিতির হলরুমে দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এতে মাথা খারাপ হয়ে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে ফ্যাসীবাদী আওয়ামী লীগ কিন্তু জামায়াতে ইসলামীকে বাংলাদেশের মানুষ অন্তর থেকে ভালোবাসে যার জন্য জামায়াতে ইসলামীকে ধ্বংস করা যায়নি। বরং আওয়ামী লীগকেই দেশের মানুষ ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করেছে। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ নিজেদেরকে দেশের মালিক আর জনগণকে তাদের দাস মনে করেছে। তাদের অপশাসনের বিরুদ্ধে কথা বললেই খুন, গুম করেছে। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে আছে জানিয়ে জনগণকে মিথ্যে গল্প শুনিয়েছে। অথচ দেশের কোনো ব্যাংকে টাকা নেই। সব টাকা তারা বিদেশে পাচার করে নিয়েছে। বৈদেশিক ঋণের চাপে দেশের অগ্রযাত্রা থমকে যাচ্ছে। তাদের সকল অপকর্মের বিচার থেকে বাঁচতেই তারা পালিয়ে গেছে। দেশের জনগণ যদি জামায়াতে ইসলামীর উপর বিশ্বাস আর আস্থা রেখে জামায়াতে ইসলামীর হাতে দেশ পরিচালনের দায়িত্ব প্রদান করে তবে দেশে থেকে পাচার হওয়া সকল সম্পদ দেশে ফিরে আনা হবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বাংলাদেশ বের হয়ে আসবে।
বার শাখার সভাপতি এডভোকেট মনিরুল ইসলাম পান্নার সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি এডভোকেট আওছাফুর রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর জামায়াতে ইসলামীর টিম সদস্য ও খুলনা বারের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল ইসলাম লিটন। এতে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন বারের সাবেক সহ-সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট আবুল খায়ের, সাবেক ভিপি এডভোকেট শেখ জাকিরুল ইসলাম, এডভোকেট খান লিয়াকত আলী, এডভোকেট আব্দুল মান্নান, এডভোকেট মঈনুল ইসলাম জীবন, এডভোকেট আলীনুর রহমান, এডভোকেট লুৎফার রহমান, এডভোকেট জি এম আবু মুসা, এডভোকেট কামাল হোসেন, এডভোকেট মোহেব্বুর রহমান, এডভোকেট আব্দুল লতিফ, এডভোকেট শামসুল হক, রুহুল আমিন, বোরহান, মোর্শেদ, খায়রুল প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, ইসলামের সুমহান আদর্শ আইন অঙ্গনে ছড়িয়ে দেয়ার আহবান জানান। আইনজীবীদের ন্যায় ও অধিকার আদায়ের সোচ্চার হতে হবে।
খুলনা গেজেট/এএজে