খুলনা, বাংলাদেশ | ২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ঝিনাইদহে ট্রাক চাপায় স্ত্রী-সন্তানসহ মোটরসাইকেল চালক নিহত
  দেশে নতুন করে করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩

জামায়াতে ইসলামীর কোন পদ পাচ্ছেন এটিএম আজহার

গেজেট ডেস্ক

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে গত মঙ্গলবার বেকসুর খালাস দেন আপিল বিভাগ। পরদিন তাকে শাহবাগে সংবর্ধনা দেয় জামায়াতে ইসলামী।

পরে মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন এটিএম আজহারুল ইসলাম। তাকে আলাদা কক্ষ দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো দলীয় কোনো পদ বা দায়িত্বে অধিষ্ঠিত করা হয়নি আজহারুলকে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৩ বছর ধরে কারাবন্দি থেকেও তিনি জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন। গত বুধবার এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পেয়েছেন। তখন থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে গুঞ্জন ছড়ায় যে তিনি জামায়াতের আমির হচ্ছেন।

দলটির একাধিক দায়িত্বশীল নেতা জানিয়েছেন, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সদস্য কারামুক্ত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের এখনই আমির বা দলীয় প্রধান হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ আমির নির্বাচিত হন দলের রুকন বা শপথধারী সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে। বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমান তিন বছর (২০২৩-২০২৫) মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তার মেয়াদ। এ বছরের শেষের দিকে আবার জামায়াতের আমির পদে নির্বাচনপ্রক্রিয়া শুরু হবে।

ওই নেতারা জানিয়েছেন, পরবর্তী আমির পদের জন্য কারা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকবেন, তার জন্য তিনজনের একটি বাছাই তালিকা হয়। এই তিনজন কারা হবেন, সেটা মজলিসে শূরার সদস্যদের গোপন ভোটে ঠিক করা হয়। এই তিনজনের নাম সারা দেশে রুকনদের জানিয়ে দেওয়া হয়। এরপর সারা দেশের রুকনদের গোপন ব্যালটে এই তিনজনের মধ্যে যে কাউকে আমির পদের জন্য ভোট দিতে পারেন। এই তিনজনের বাইরে কারও কাছে অন্য কাউকে ভোট দিতে পারেন। এই তিনজনের বাইরে কারও কাছে অন্য কাউকে আমির পদের জন্য যোগ্য মনে হলে তিনি তাকে ভোট দিতে পারেন। এরপর নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশন ভোট গণনা করে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্তকে আমির ঘোষণা করেন। এটিএম আজহারকে আমির হতে এ প্রক্রিয়ায় ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে।

দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এটিএম আজহারুল ইসলামকে দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির করার সম্ভাবনা বেশি। বর্তমানে জামায়াতের নায়েবে আমির তিনজন। তারা হলেন—সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান, সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও আ ন ম শামছুল ইসলাম। গঠনতন্ত্রে নায়েবে আমিরের সংখ্যা নির্দিষ্ট করা নেই। গঠনতন্ত্রে ‘প্রয়োজনীয় সংখ্যক’ বলে উল্লেখ রয়েছে।

এটি এম আজহারুল ইসলাম ২০১১ সালের ২২ আগস্ট রাজধানীর বড় মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেফতার হন। তখন তিনি জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল পদে ছিলেন। তার আগে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ গ্রেফতার হওয়ার পর একবার ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল পদেও ছিলেন। প্রায় ১৩ বছর কারাবন্দি থাকার পর গত ২৮ মে তিনি মুক্তি পান। আগের দিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মত রায়ে খালাস দেন এটিএম আজহারকে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!