খুলনায় ঈদ-উল-আযহার প্রধান ও প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল আটটায় টাউন জামে মসজিদে। এবারে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে উন্মুক্ত স্থানে বা মাঠে কোন ঈদের জামাত হবে না। খুলনায় পবিত্র ঈদ-উল-আযহা যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূিচ গ্রহণ করা হয়েছে।
ঈদ-উল-আযহার প্রথম ও প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল আটটায় খুলনা টাউন জামে মসজিদে। জামাতে ইমামতি করবেন টাউন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহম্মদ সালেহ। একই স্থানে দ্বিতীয় ও শেষ জামাত সকাল নয়টায় অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া কোর্ট জামে মসজিদে সকাল সাড়ে আটটায় একটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। খুলনা আলিয়া কামিল মাদ্রাসা জামে মসজিদ, নিউমার্কেট বায়তুন নূর জামে মসজিদ, রূপসা বায়তুশ শরফ জামে মসজিদ, সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা (২য় ফেজ) বায়তুল্লাহ জামে মসজিদসহ খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন মসজিদে নিজেদের সময় অনুযায়ী ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া জেলার সকল মসজিদে ঈদ-উল-আযহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত আদায় করা যাবে।
সরকারি নির্দেশনা মেনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ঈদের জামাতের কাতারে দাঁড়াতে হবে। এক কাতার অন্তর এক কাতার করে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে হবে। মসজিদের অযুর স্থানে সাবান ও স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মুসুল্লিদের বাসা থেকে অযু করে এবং মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। অযু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। জামায়াত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো যাবে না। মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করতে হবে এবং মুসুল্লিগণ বাসা থেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। মসজিদের টুপি এবং জায়নামাজ ব্যবহার করা যাবে না। শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোন অসুস্থ ব্যক্তি, অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পেতে নামাজ শেষে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করা হবে।
ঈদের দিন সকল সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ও ভবনে সকালে যথাযথভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং সূর্যাস্তের পূর্বে নামানো হবে। জাতীয় পতাকা ও ঈদ মোবারক বাংলা ও আরবি খচিত ব্যানার দ্বারা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ, সড়কদ্বীপ ও সার্কিট হাউজ সজ্জিত করা হবে।
ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার, খুলনা বিশেষ অনুষ্ঠানমালা এবং স্থানীয় সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে। বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, ভবঘুরে কল্যাণকেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণকেন্দ্রে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে।
ঈদে আইনশৃংঙ্খলা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মহানগর ও মহানগরের বাইরের বিভিন্ন স্পটে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, ছিনতাইকারী ও পকেটমারদের তৎপরতা বন্ধে বিভিন্ন স্থানে সাদা পোশাকধারী পুলিশ মোতায়ন এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। ঈদ-উল-আযহার সময় আতশবাজি ও পটকা ফোটানো, রাস্তা বন্ধ করে স্টল তৈরি, উচ্চস্বরে মাইক, ড্রাম বাজানো, রঙিন পানি ছিটানো এবং বেপরোয়াভাবে মটর সাইকেল চালানো যাবে না।
ঈদ-উল-আযহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠানের সময় মুসল্লিদের অযুর জন্য টাউন জামে মসজিদ, কোর্ট মসজিদ ও নিউমার্কেট বায়তুন নূর জামে মসজিদে খুলনা ওয়াসা পানির ব্যবস্থা রাখবে।
উপজেলাসমূহেও স্থানীয়ভাবে অনুরূপ কর্মসূচি অনুযায়ী ঈদ-উল-আযহা উদযাপন করা হবে।
খুলনা গেজেট / এমএম