আসন্ন জাতীয় বাজেটে নাভারন-সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন প্রকল্প, সাতক্ষীরার বসন্তপুর নৌ-বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সাতক্ষীরা বিশ্ববিদ্যালয়, অর্থনৈতিক অঞ্চল, ক্রীড়া কমপ্লেক্সসহ সাতক্ষীরার যেসব বিষয়ে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে সব প্রকল্পে বরাদ্দ রাখার দাবী জানিয়েছে জেলা নাগরিক কমিটি। শনিবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১০টায় সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরীতে অনুষ্ঠিত সংগঠনের এক সভায় এসব দাবী জানানো হয়।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাড. শেখ আজাদ হোসেন বেলালের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর আব্দুল হামিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর আব্দুল ওয়াহেদ, কিশোরী মোহন সরকার, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, প্রফেসর ড.দিলারা বেগম, অধ্যাপক পবীত্র মোহন দাস, শেখ হারুন অর রশিদ, মাহাফুজা রুবি, নাজমুন আসিফ মুন্নি, আলী নুর খান বাবুল, শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন, তপু হাসেমী, শেখ মনিরুল ইসলাম, আব্দুল ওহাব সরদার, আদিত্য মল্লিক, আব্দুস সামাদ, জিএম মনিরুজ্জামান, মুনসুর রহমান, অধ্যাপক ইদ্রিশ আলী, সাংবাদিক আব্দুস সামাদ, অ্যাড. মুনির উদ্দিন, মন্ময় মনির, বায়েজিদ হোসেন, কমরেড আবুল হোসেন, শেখ সিদ্দিকুর রহমান, আমজাদ হোসেন, উপধাক্ষ্য তপন কুমার শীল, আনোয়ার জাহিদ তপন, আব্দুস সাত্তার, শফিকুল ইসলাম এবং ডা: মোঃ নজরুল ইসলাম। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ।
সভায় বক্তারা বলেন, সারাদেশে উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নের রোলমডেলে পরিণত হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এপারের জেলাগুলোতেও উন্নয়নের জোয়ার বইতে শুরু করেছে। কিন্তু সেই উন্নয়নের ঢেউ যশোর-নড়াইল-খুলনা-বাগেরহাট পর্যন্ত এসে পৌছালেও সাতক্ষীরা জেলা এখনো অনেকটা দূরে রয়ে গেছে। সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়নের গতি খুবই ধীর। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত এই এলাকায় শিক্ষার হার কম। দরিদ্রতার হার দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে অনেক বেশি। ফলে মৌলবাদ জঙ্গিবাদসহ নানা সংকটে জর্জরিত এই এলাকা। ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষার হার বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে এই এলাকাকে এগিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
বক্তারা আরো বলেন, জেলায় উন্নয়নে সরকার ইতোমধ্যে যুগান্তরকারী বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু সেগুলোর দৃশ্যমান অগ্রগতি খুবই কম। জেলার জলাবদ্ধতা সমস্যা ও নদী ভাঙ্গন রোধে সরকার অসংখ্য প্রকল্প গ্রহণ করলেও সেসব প্রকল্পের কাজের মান নিয়ে জনঅসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে। দুর্নীতি বন্ধ করে কাজের মান বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ নাগরিক কমিটির ২১ দফা দাবী বাস্তবায়নের আহবান জানানো হয়।
এসব দাবি আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি অকর্ষন করতে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ৮ মে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সভায় অ্যাড. শেখ আজাদ হোসেন বেলালকে সংগঠনের আহবায়ক নির্বাচিত করা হয়।
খুলনা গেজেট/ এসজেড