প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, বিচার বিভাগ জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে সবার জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে, আগামীতেও একইভাবে কাজ করে যাবে। রোববার সুপ্রিম কোর্টের জাজেস কমিটির উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বাঙালির স্বাধিকার, স্বাধীনতা, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ- যাই বলা হোক না কেন, সেসব শব্দের অপর নাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি বলে তার জীবনের অনেকটা সময় কারাগারে কেটেছে। আদর্শ ও মূল্যবোধ থেকে তিনি এক পা পিছু হটেননি। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে সুসংহত করতে বঙ্গবন্ধু জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত প্রাণান্ত সংগ্রাম করেছেন।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি সংবিধান উপহার দেন। দেশের মানুষ স্বল্প সময়ে ন্যায়বিচার পেলে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।
প্রধান বিচারপতি দ্রুততম সময়ে এবং স্বল্প খরচে দেশের বিচারপ্রার্থী জনগণকে সুবিচার পৌঁছে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে আহ্বান জানান। বিচারিক কর্মঘণ্টার পূর্ণ ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
শোক দিবসের আলোচনা সভায় সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা অংশগ্রহণ করেন। শোক সভায় আপিল বিভাগের চার জন বিচারপতি এবং হাইকোর্ট বিভাগের ২২ জন বিচারপতি বক্তব্য প্রদান করেন।
শোক সভা শেষে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নিহত জাতির পিতা এবং তার পরিবারের সদস্যরাসহ সব শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান। শোক সভা সঞ্চালনা করেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।