ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত আট মাস নদ-নদীতে জাটকা ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। এ সময় জাটকা ধরা, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে ১০ ইঞ্চি (২৫ সেন্টিমিটার) দৈর্ঘ্যের চেয়ে ছোট ইলিশ যেন না শিকার করা হয় সেজন্য ছোট ফাঁসের জাল ব্যবহারেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলায় ৬৬ হাজার ৬৮০ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও ৫৩ হাজারের বেশি জেলে ভিজিএফ সুবিধা পাবে। আট মাসের নিষেধাজ্ঞা পালন করতে ছোট ফাঁসের জালসহ সব সরঞ্জাম বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে জেলেরা। তবে তারা বড় ফাঁসের জালের জন্যসহজ শর্তে ঋণের দাবি করেছেন।
পায়রাগঞ্জ এলাকার জেলে মোশাররফ বলেন, জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচির এই সময়ে সরকারিভাবে যে সহায়তা করা হয় তা থেকে প্রকৃত জেলেরা বঞ্চিত হন। সরকারের কাছে অনুরোধ, নতুন করে প্রকৃত জেলেদের তালিকভুক্ত করা হোক।
গলাচিপা পানপট্টি এলাকার জেলে মনিরুল বলেন, বড় ফাঁসের জাল ফেলার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যদি সহজ শর্তে ঋণ দেয় তবে ভালো হবে। সরকার জেলেদের জন্য ভালো পদক্ষেপ নিয়েছে। তার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ।
পটুয়াখালী মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ বলেন, প্রতি বছরের মতো এ বছরও ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে আট মাস জাটকা আহরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন বন্ধে নানা কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানে হিসেবে ৭০টি গরু, অবৈধ জালের বিপরীতে বৈধ জাল বিতরণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আইন অমান্য করলে ১-২ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধানও রাখা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম