বাগেরহাটের চিতলমারীতে প্রভাবশালীর ছোট্ট একটি বাঁধের কারণে চলতি মৌসুমে ২০০ একর জমির বোরো ধান চাষ বন্ধ রয়েছে। সময়মত পানি নিষ্কাশন করতে না পারলে ওই জমিতে এ বছর আর ধান চাষ করা সম্ভব হবেনা। আর ধানচাষ করতে না পারলে শতাধিক কৃষক পরিবার অনাহারে পড়বে। কৃষকেরা বাঁধ অপসারণের জন্য বেশ কয়েকবার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে ওই প্রভাবশালীর বাড়িতে ধর্ণা দিয়েছেন। কিন্তু কোন প্রতিকার না পেয়ে বুধবার (২৪ জানুয়ারী) সকালে তাঁরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
ভূক্তভোগী কৃষক মোঃ দাউদ গাজী, কিশোর বিশ্বাস, তুহিন শেখ, অরুণ বিশ্বাস, শামিম তালুকদার, তুহিন শেখ, অসিত মন্ডল, শ্যামল মন্ডল, সজল মন্ডল, প্রকাশ বিশ্বাস শচীন বিশ্বাস ও বাবলু বিশ্বাসসহ অর্ধশত কৃষক জানান, সুরশাইল গ্রামের মোঃ কাসেম আলীর ছেলে মোঃ ইউসুফ শেখ জোরপূর্বক অবৈধ ভাবে ওয়াপদা বেড়ি বাধের জলাশয়ে বাঁধ দিয়েছেন। ফলে তাঁদের জমির কোন পানি খালে নিষ্কাশন করতে পারছেন না। বিধায় চলতি বেরো মৌসুমে প্রায় ২০০ একর জমির চাষাবাদ বন্ধ হয়ে আছে। এই মৌসুমে ধানের চাষ করতে না পারলে তাঁদের শতাধিক পরিবার অনাহারে পড়বে। এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিসহ তাঁরা বহুবার উক্ত ইউসুফ শেখকে সাময়িক সময়ের জন্য বাঁধ অপসারণের অনুরোধ করেছেন। কিন্তু কিছুতেই সে তাঁদের কথা শোনেন নেই। উল্টো তাঁদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।
মোঃ ইউসুফ শেখ বলেন, ‘আমি ওই জায়গা স্থানীয় এক ব্যাক্তির কাছ থেকে নগদ জমায় লিজ নিয়েছি। ওই কৃষকরা জমির পানি ফেললে আমার ধানের ক্ষতি হবে। তাই বাঁধ দিয়েছি।’
চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সিফাত আল মারুফ বলেন, ‘এ উপজেলায় ২১ টি ব্লক রয়েছে। এরমধ্যে চিতলমারী সদর ব্লকে প্রায় ৩ হাজার ৭০৫ একর জমি রয়েছে। বিষয়টি অতিগুরুত্বপূর্ণ। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিষয়টির খোঁজ খবর নিব।’
চিতলমারী নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসমত হোসেন বলেন, ‘কৃষকদের করা আবেদনটি এখনও হাতে পাইনি। বিষয়টি আমি গুরুত্বের সাথে দেখব।
খুলনা গেজেট/ টিএ