জাতিসংঘের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ৩০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশটিকে সহায়তা করা হবে। প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করে বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগে প্রস্তুতি, মনিটরিং, যোগাযোগ ও পূর্ব সতর্কীকরণ ব্যবস্থা এবং সবুজ প্রযুক্তির প্রসারে সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসবিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি মামি মিজুতোরি।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
সামাজিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় অগ্রগতি সাধন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ’বাংলাদেশের নিকট থেকে বিশ্বের অনেক কিছু শিক্ষণীয় আছে।’
এ সময় শাহাব উদ্দিন বলেন, ’বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হতে জনগণের জীবন ও জীবিকা বাঁচাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ও মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ’জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা এবং জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমনমূলক কর্মকাণ্ডে বিপুল পরিমাণ অর্থায়ন প্রয়োজন। এসব ক্ষেত্রে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রয়োজনীয় সহায়তা পেলে এসডিজিসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অঙ্গীকার পূরণে বাংলাদেশ সফল হতে পারবে।’
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুয়েন লুইস, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য ইউএনডিআরআরের আঞ্চলিক অফিসপ্রধান মার্কো তোসকানো-রিভাল্টা প্রমুখ।
এর আগে সকাল ৯টায় মামি মিজুতোরি ফায়ার সার্ভিসের হেড কোয়ার্টারে বৈঠকে অংশ নেন। দুপুর ১২টায় দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। তা ছাড়া ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন।
বুধবার সকাল ৮টায় গুলশান হাব অফিসে তিনি ব্রিফিংয়ে অংশ নেবেন। তা ছাড়া সকাল ১০টায় রেড ক্রিসেন্টের মগবাজার কার্যালয়ে বৈঠক শেষে দুপুর ১২টায় পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
খুলনা গেজেট/কেডি