জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে দেশব্যাপী জাতীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে চার সপ্তাহ ধরে চলবে। এসময় পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী অথবা ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের বিনামূল্যে এইচপিভি (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস) এর টিকা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে।
খুলনা জেলায় এ টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য জেলা সমন্বয় সভা বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তৃায় সিভিল সার্জন বলেন, ক্যান্সার নামের রোগটি অনেক ক্ষেত্রে মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একডোজ এইচপিভি টিকা নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে পারে। রোগ হওয়ার আগেই প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়াই উত্তম। তাই সুনির্দিষ্ট শ্রেণিতে পড়ুয়া ও নির্দিষ্ট বয়সী কিশোরীদের এই টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন।
সভায় জানানো হয়, বিশ্বে প্রতি দেড় মিনিটে একজন নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে মারা যান। যাদের ৯০ শতাংশ বাংলাদেশের মতো নিন্ম-মধ্য আয়ের দেশের অধিবাসী। নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর প্রধান কারণ জরায়ুমুখ ক্যান্সার। বাংলাদেশে প্রতি লাখ নারীর মধ্যে ১৬জন এরোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন এবং দেশে প্রতিবছর প্রায় ৬ হাজার ৫৮২জন নারী এরোগে মৃত্যুবরণ করেন। এইচপিভি টিকা গ্রহণের মাধ্যমে এরোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী বিনামূল্যে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হবে। নির্দিষ্ট বয়সী ও নির্ধারিত শ্রেণিতে অধ্যয়নরত কিশোরীরা www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে টিকাকার্ড সংগ্রহ করতে পারবে। পরে ঐ কার্ড দেখিয়ে টিকার ডোজ গ্রহণ করা যাবে।
সভায় জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক কানিজ মোস্তফা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ স্বপন কুমার হালদার, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেনসহ সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল সার্জন দপ্তরের মেডিকেল অফিসার ডাঃ অভিজিত রায়ের সঞ্চালনায় সভায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাজমুর রহমান সজিব।
খুলনা গেজেট/এএজে